বাসস
  ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ২১:১১
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ২২:০৩

পহেলা বৈশাখ বাঙালির অভিন্ন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন : বাংলা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

নয়াদিল্লী, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : ‘পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির অভিন্ন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে আয়োজিত বাংলা উৎসব বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক বন্ধন ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে।’
শুক্রবার বিকেলে ভারতের নয়াদিল্লীর চিত্তরঞ্জন পার্কের বিপিনচন্দ্র পাল ট্রাস্ট মিলনায়তনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ স্বাগত জানাতে আয়োজিত বাংলা উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ এবং বিহু ক্রিয়েশন। উৎসবের উদ্বোধনী দিনের স্লোগান ছিলো, তোমার খোলা হাওয়ায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমর বিশেষজ্ঞ ড. মেজর জেনারেল (অব.) পি কে চক্রবর্তী।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ীসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা। মেজর জেনারেল (অব.) ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, এ ধরনের আয়োজন দু'দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পহেলা বৈশাখে দিল্লিতে এবারের বাংলা উৎসব দু'দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতার পর ’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটির আজকের যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই সম্ভব হয়েছে।  
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি তাপস হোড়ের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসবের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলাম, নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রার আহ্বায়ক শ্রী বোধিসত্ত্ব তরফদার, দিল্লি মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলর কুমারী আংশু ঠাকুরসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা।
উপস্থাপনা করেন আবৃত্তিশিল্পী রূপশ্রী চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে নাচ পরিবেশন করেন ঢাকার বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা ব্যানার্জী ও তার নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যনন্দনের শিল্পীরা।
গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম। ভারতের রবি গীতিকা পরিবেশন করে গীতিনাট্য ‘বসন্ত’।
শেষে মঞ্চস্থ হয় নাট্যজন নাদের চৌধুরী নির্দেশিত ঢাকা পদাতিকের নাটক 'ট্রায়াল অব সূর্যসেন'।