বাসস
  ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:১১

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৌলবাদীরা অতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মেহেরপুর, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদী, জঙ্গীবাদি গোষ্ঠী অতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। 
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যারা আমাদের এই মহান স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি, বিরোধীতা করেছিল, তাদের বংশধরেরা এখন আরও বেশি সংঘবদ্ধ। তারা যখনি কোনো সময় সুযোগ পায়, তখনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সরকারকে বিব্রত এবং মহান স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালায়। 
মোজাম্মেল হক আজ সোমবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশী বিদেশী প্ররোচনায় ওই অপশক্তি দেশের স্বাভাবিক অবস্থাকে নষ্ট করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই অপশক্তি যাতে দেশে শিকড় গাড়তে না পারে সে জন্য সরকার, আইন শৃংখলা বাহিনী, জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে সচেতন থাকতে হবে। 
তিনি বলেন, ২২টি উপজেলা বাদে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। তবে, উপজেলা পর্যায়ের যাচাই বাছাই কমিটি যাদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে নামুঞ্জর করেছে তাদেরকে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখনো ২২টি উপজেলাতে যাচাই বাছাইয়ের কাজ বাকি আছে। সেজন্য অল্পকিছু মুক্তিযোদ্ধাদের আপিল নিষ্পত্তি অপেক্ষমান। সেগুলো আগামী জুন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা তৈরী করার বৈধ কোনো এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ছিলনা। বিগত দিনে এ নিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করা হয়েছে। ’৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল সেসব রাজাকার, আলবদর, আল শামসসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য এবং কি প্রক্রিয়ায় হবে সেটিই সংসদে পাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাহাজান খানকে আহবায়ক করে কমিটি গঠন ও রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছি। সেই কমিটির মাধ্যমে খুব অল্পদিনেই রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে।
 ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার, ভিডিপি, স্কাউটস, গার্লস গাইড সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাড়ে দশটায় গীতিনাট্য ‘জল, মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠিত হয়।