সিলেটের কৃষিকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন দুর্যোগ সহনীয় পদ্ধতির প্রয়োগ : ফ্রিপ'র কর্মশালায় বক্তারা

বাসস
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১৯:০৭

সিলেট, ২০ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : দুর্যোগ প্রবণ সিলেটে কৃষিতে নানামুখী অন্তরায় রয়েছে। এ জন্য বছরে লক্ষাধিক হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। তাই, দুর্যোগ সহনীয় পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে এই অঞ্চলের কৃষি এগিয়ে নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার নগরীতে সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিস্ট্যান্টস প্রকল্প (ফ্রিপ) এর আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কর্মশালায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং এর পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার  বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে কৃষি উন্নয়নের বিকল্প নেই। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির সহায়ক শক্তি কৃষিকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলাসহ নিত্য নতুন ফসল বিদেশে রপ্তানি করতে কৃষির উন্নয়ন অনস্বীকার্য। 

তিনি প্রাকৃতিক  দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষির  উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ফ্রিপ প্রজেক্ট পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান। রিপোর্টিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী প্রকল্প পরিচালক (মনিটরিং) শাওন মজুমদার।

সহকারী প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন)ড.হুমায়ুন কবির ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত দেব নাথের সঞ্চালনায়  কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন উইং) ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইং এর উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান, বারি মৌলভীবাজার এর সিএসও ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শওকতুজ্জামান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সিলেটের অধ্যক্ষ ড. মোছা. কুহিনুর বেগম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ, হবিগঞ্জের উপ পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দীপক কুমার দাস।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ১২০জন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছর মেয়াদি ফ্রিপ প্রকল্পটি আগামী ২০২৬ সালের মার্চে শেষ হবে। প্রকল্পটি সিলেটের চার জেলাসহ সাতটি হাওর জেলায় চলমান রয়েছে।

কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিআরডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। 

এই প্রকল্পে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে সেচ সুবিধা, পতিত জমিতে উৎপাদন, আধুনিক চাষাবাদ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জুলাই-আগস্ট অন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবার সঙ্গে আলোচনা করে হতে হবে : ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চার কর্মী গ্রেফতার, বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার
শিশুশ্রম নিরসনে পরিবার, শিক্ষক ও রাষ্ট্রের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরবে : মির্জা ফখরুল
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত
জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া জনগণের অধিকার আদায় সম্ভব নয় : আলোচনা সভায় বক্তারা
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শান্তির পথ প্রশস্ত করেছে : জাহিদ
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসককে ওএসডি
আবার রাস্তায় নামলে ফ্যাসিস্টদের মতো চাঁদাবাজদেরও উৎখাত করতে সমর্থ হবো : ফয়জুল করীম
সিডিএ কর্ণফুলী হাউজিংয়ে অচিরেই ওয়াসার পানি সংযোগ যাবে : সিডিএ চেয়ারম্যান
১০