চাঁদপুর, ৮ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : জেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালীন ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা ৪৫ হাজার ৬শ ১৫ জেলেকে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসেবে (বিজিএফ) ২৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেন। ওই চিঠিতে ৩ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধিত জেলেদের পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর জেলেদের হালনাগাদ সংখ্যা হিসেবে ৪৩টি ইউনিয়ন ও ৩ টি পৌরসভার ৪৫হাজার ৬১৫জন জেলের জন্য খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ আসে ১১৪০.৩৭৫ মেট্রিক টন চাল। এসব চাল গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৩ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টন প্রতি পরিবহন ব্যয় ধরা হয় ২৫০টাকা।
হাইমচর উপজেলা জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এ.বি.এম. আশরাফুল হক বলেন, আমাদের উপজেলায় ১২হাজার ৩শ ৩ টি পরিবারের মাঝে খুবই সু-শৃঙ্খলভাবে খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে এই বিষয়ে অভিযোগ করেননি।
তিনি জানান, আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলে খায়রুল ইসলাম বলেন, এবার চাল ওজনে ঠিক পেয়েছি। কারণ দুইজন জেলেকে ২৫ কেজি করে ৫০ কেজির বস্তা দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আলাদা করে ওজন দিতে হয়নি।
চান্দ্রা ইউনিয়নের আরেক জেলে আবুল মিজি বলেন, চাল পেয়ে আমাদের উপকার হয়েছে। কারণ ২২ দিন আমাদের বেকার থাকতে হবে। তবে এই সহায়তা আরো বৃদ্ধি করা দরকার।
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজার বন্ধের কারণে সদরে চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নিবন্ধিত সব জেলের চাল পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রত্যেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলেদের (বিজিএফ) চাল বিতরণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।