দিনাজপুর, ২২ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস) : জেলায় জোনাল ও বিরামপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ দুর্নীতি ও খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দেয়ার অভিযোগে দুদক অভিযান পরিচালনা করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন,দুদকের একটি অভিযান টিম জেলার বিরামপুর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত দুদকের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে এবং একই সময় অপর একটি অভিযান টিম দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সূত্রটি জানায়, দুদকের পৃথক দু'টি অভিযানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে জমির মাঠ পর্চা প্রদান, সরকারি খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় খতিয়ান দেওয়া, দালালদের উপদ্রব সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয় এবং বিরামপুর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দৃশ্যমান ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন,আমরা দালালদের সরাসরি অফিসে কাজ করতে দেখেছি, বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আরও কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছি। অভিযানের তথ্য প্রতিবেদন আকারে দুদক সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।দুদক সদর দপ্তরের অনুমতি প্রাপ্ত সাপেক্ষে ভুমি জরিপ কাজে জন-দুর্ভোগ সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দালালের বিষয়ে জেড এস ও, দিনাজপুর এবং বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন আরো বলেন, আমরা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছি। কিছু বিষয়ের প্রমানাদি পেয়েছি। জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকের ব্যাংক একাউন্ট এবং বিভিন্ন মাধ্যমে লেনদেনের অসঙ্গতি রয়েছে।
আমরা সে বিষয় গুলো তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ উদঘাটন সহ প্রতিবেদন দুদক সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।যারা এসব অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এবং জন-দুর্ভোগ সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছেন, তাদের প্রত্যেককে দুদক আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অভিযান টিম সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন বলে তিনি দাবি করেন।