বাসস
  ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৫১
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৪

কোনোভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সিটিটিসি

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম বলেছেন, আপনারা অপরাধীদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন, অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও গেন্ডারিয়া থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের সহযোগিতায় পুলিশ আবারো নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আপনারা যেভাবে পুলিশকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সমর্থন দিয়েছেন ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করি। পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে।

তিনি বলেন, মাদক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। এ অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। 

স্বাগত বক্তব্যে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, জনগণের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা আরো বাড়াতে হবে। আমরা আর কোন অস্ত্র দিয়ে পুলিশিং করবো না। সাধারণ মানুষের সাথে মিশে অপরাধ দমন করতে চাই। মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে পুলিশ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করুন, তাহলে আপনারা সত্যিকারের যে পুলিশি সেবা পেতে চান সেটা পাবেন। আমরা চাই জনগণের সাথে পুলিশের সম্পর্কটা অটুট থাকুক।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও গেন্ডারিয়া এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

সভায় উপস্থিত স্থানীয় এক নাগরিক বলেন, মিথ্যা মামলা রুজু বন্ধ করতে হবে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবো। নিজে আইন মানবো এবং অন্যকে আইন মানতে উৎসাহ দেবো।

ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ছালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।