বাসস
  ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৯
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৩১

সায়মা ওয়াজেদের সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই সাফল্য : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভারতের দিল্লীতে ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিরাট ব্যবধানে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে জয়লাভ পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই সাফল্য ও অর্জন। কারণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় ২০০ কোটি মানুষের আগে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিই আস্থা রেখেছেন। এজন্য সায়মা ওয়াজেদের এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই সাফল্য বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সায়মা ওয়াজেদের বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বিজয়, কালাজ¦র নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ এবং ফাইলোরিয়া মুক্ত দেশের স্বীকৃতি লাভ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে কালাজ¦র নির্মূলে বিশে^ প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ ও ফাইলোরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কালাজ¦রে প্রতি বছর বিশে^র প্রায় ১০০টি দেশের মানুষ আক্রান্ত হয়। এটি একটি প্রাণঘাতি রোগ। প্রতি বছর কালাজ¦রে বিশে^র ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়। কালাজ¦রে আক্রান্ত হয় এমন ১০০টি দেশের মধ্যে ১৩টি দেশের আক্রান্ত হার ৯০শতাংশ। বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ আক্রান্তের ঝুঁকিতে ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন কালাজ¦র মুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেল। এটি আমাদের একটি জাতীয় অর্জন।
সংবাদ সম্মেলনে ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগের বিস্তার সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলায় ফাইলেরিয়া সংক্রমনের হার ছিল সর্বোচ্চ ২০ ভাগ। এই রোগটিকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথোপযুক্ত উদ্যোগে নির্মূল করে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-এর সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।