গাজা নিয়ে আরব দেশগুলোর ধারণা সম্পর্কে আমেরিকা আগ্রহী : রুবিও 

বাসস
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৬
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজা নিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর নতুন প্রস্তাব শুনতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা অঞ্চলের পুরো জনসংখ্যাকে বাস্তুচ্যুত করার চরম আপত্তিকর পরিকল্পনার পর তিনি এ কথা বলেন। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

রুবিও বৃহস্পতিবার এক সফরে রওনা হয়েছেন। তিনি সফরে জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানীতে মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্রথম যাত্রাবিরতি পর ইসরাইল, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। মিউনিখে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সাথে ইউক্রেন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় যোগ দেবেন।

ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির সাথে আলোচনার পর এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরব রাষ্ট্রগুলের প্রস্তাব সম্পর্কে রুবিও মন্তব্য করেন, ‘আশা করি তারা প্রেসিডেন্টের কাছে একটি সত্যিকারের ভালো পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন।’

ক্লে ট্র্যাভিস ও বাক সেক্সটন রেডিও শোতে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তারা অন্য কোনো পরিকল্পনা পছন্দ করছে না শুধুমাত্র মাত্র ট্রাম্পের পরিকল্পনাই একমাত্র পরিকল্পনা। তবে তাদের কাছে যদি আরও ভালো কোনো পরিকল্পনা থাকে, তাহলে তা উপস্থাপন করার এখনি সময়।

হামাসের একটি বড় হামলার ফলে সৃষ্ট ইসরাইলের সঙ্গে ১৬ মাসের যুদ্ধে গাজায় ২০ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে প্রতিবেশী মিশর ও জর্ডান  গ্রহণ না করলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ট্রাম্প সতর্ক করেছেন।

রুবিও বলেন ‘এই সমস্ত দেশ বলে তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি যত্নশীল, তবে তাদের কেউই তাদের নিতে চায় না কেন। তাদের কারও গাজার জন্য কিছু করার ইতিহাস নেই।’

জর্ডান ইতোমধ্যেই ২০ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।

কূটনীতিকরা বলছেন, মিশর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিকল্প উপস্থাপনের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মিশরীয় প্রস্তাবে গাজায় একটি নতুন নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং এতে স্থানীয় ফিলিস্তিনি নেতাদের বাছাই করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে,যারা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

রুবিও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আরব রাষ্ট্রগুলো ‘সৎ বিশ্বাসে কাজ করছে, তবে ভবিষ্যতে হামাসের কোনও ভূমিকা থাকা উচিত নয়।’ 

তিনি বলেন,‘যদি এই অঞ্চলের দেশগুলো এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইসরাইলকে এটি করতে হবে এবং তারপরে আমরা যেখানে ছিলাম সেখানে ফিরে যাব।’

রুবিওর পূর্বসূরী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছিলেন। ওই প্রস্তাবে যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলটি দায়িত্ব নিতে পারবে ততক্ষণ আন্তর্জাতিক শক্তি এবং জাতিসংঘ গাজায় অস্থায়ী ভূমিকা পালন করবে।

কট্টর ডানপন্থী সরকারের নেতৃত্বে থাকা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতার অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরে অবস্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দুর্বল করার চেষ্টা করে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
কুড়িগ্রামে ‘সমাজ নির্মাণে কবি-লেখকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত
ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত
কপ৩০ সম্মেলনে আবারো আদিবাসীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ মারমা মহিলা ঐক্য পরিষদের তৃতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা : সোমবার জাতিসংঘে ভোটাভুটি
নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ এড়াতে বলল চীন
লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই
১০