ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): ‘শ্রমিক আবাসন নীতি’ ও প্রতিবন্ধী শ্রমিক সুরক্ষায় সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন গত সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
শ্রমিকের আবাসন বিষয়ে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘একটি শ্রমিক আবাসন নীতি’ প্রণয়ন করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে শিল্প ও শ্রমঘন এলাকায় সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এবং জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যাতে করে প্রতিটি জেলায় বয়স্ক, অবসরপ্রাপ্ত ও অক্ষম শ্রমিকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।’
সকল শ্রমিকের জন্য স্বল্পমূল্যে আবাসন নিশ্চিতে শ্রমিক আবাসন তহবিল' গঠন এবং শ্রমিকদের জন্য স্বল্পসুদে গৃহঋণ, আবাসন ভর্তুকি এবং আবাসন তহবিল গঠনের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে সুপারিশ করেছে কমিশন।
প্রতিবন্ধী শ্রমিক সুরক্ষা বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘শ্রম আইনে প্রতিবন্ধী শ্রমিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা। যেমন, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশগম্যতা ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধান সংযোজন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চেকলিস্টে প্রতিবন্ধী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ মানদণ্ড সংযোজন, দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতার ক্ষেত্রে আজীবন চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা দিতে সামাজিক সুরক্ষা আইনে বিশেষ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা; শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রতিবন্ধী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা, দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতার ক্ষেত্রে আজীবন চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করা।’
নিয়োগকারী, শ্রমিক সংগঠন ও সরকারের মধ্যে সামাজিক সংলাপ জোরদার করে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করা। দুর্ঘটনায় অক্ষম হয়ে পড়া শ্রমিকদের পুনর্বাসনে সরকার ও নিয়োগকর্তার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন শ্রম বিষয়ে
অংশীজন ও বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দাখিল করেছেন।