ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): অন্তর্বর্তী সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে নীতিগত সংস্কার, উন্নত বিমান পরিষেবা, বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি,গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কার্গো পরিচালনার কৌশলগত সম্প্রসারণ।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে মনোনীত করা থেকে শুরু করে পুরনো বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালা সংশোধন ও নতুন রুটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল হয়ে পড়া এবং করোনাভাইরাস মহামারী পরবর্তী সময়ে নাজুক হয়ে পড়া বিমান খাত সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপে শক্তিশালীভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির পথে অনেকটা এগিয়েছে।
নতুন যুগে প্রবেশ করেছে ঢাকা বিমানবন্দর: গত এক বছরে বড় ধরনের সংস্কারের সাক্ষী হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে যাত্রী চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে এবং প্রবাসী কর্মীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নতুন পরিষেবা ও অবকাঠামো চালু করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল পরিষেবার মান উন্নত করার বিষয়টি।
বিদেশগামী এবং ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের জন্য প্রধান চমক ছিল প্রবাসী লাউঞ্জের উদ্বোধন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রবাসী লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন। এতে বিশ্রামাগার, ভর্তুকিযুক্ত স্বল্পমূল্যের খাবার, প্রার্থনার স্থান, শিশুর যত্নের কক্ষ এবং একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে।
বহুতল পার্কিং ভবনের দ্বিতীয় তলায় আরেকটি অপেক্ষমান কক্ষ দূরের দেশ থেকে আসা প্রবাসী যাত্রী এবং তাদের পরিবারের পরিষেবার জন্য।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের সকল কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে, প্রবাসীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ সম্মানজনক আচরণ করতে হবে এবং তাদের স্যার সম্বোধন করতে হবে। এছাড়া তাদের ঝামেলামুক্ত পরিষেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান বলেন, ‘বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা দৃশ্যমান এই পরিবর্তন আনতে এক সঙ্গে কাজ করছে।’
যাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ৮৫ শতাংশেরও বেশি চেক করা লাগেজ এখন বিমান অবতরণের ১৫ থেকে ৫৫ মিনিটের মধ্যে কনভেয়ারে পৌঁছে যায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাজিব সামাদ এটিকে বিমানবন্দরের দীর্ঘ দিনের অভিযোগগুলোর একটি হ্রাস করার ব্যাপারে বড় ধরনের সাফল্য মনে করছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি বিমানবন্দর হলো কোনো দেশের ব্যাপারে ধারণা পাওয়ার প্রথম স্থান। এটির সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে।’
যাত্রীরাও এই পরিবর্তনে খুশি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসা তাসফিয়া কিশোর বাসস’কে বলেন, ‘আগে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতাম। এবার, ইমিগ্রেশনের অল্প সময় পর আমার ব্যাগ পেয়েছি।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন ২৬টি স্বয়ংক্রিয় ই-গেট পরিচালিত হচ্ছে। এতে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে সময় কম লাগছে। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। যাত্রী প্রবেশের সময় কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে নজরদারি এবং উন্নত যাত্রী স্ক্রিনিংয়ের মতো ব্যবস্থাও কার্যকর রয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ ও প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বিমানবন্দরটিতে ২৪ ঘণ্টা সেবার জন্য হটলাইন (১৩৬০০) এবং একটি নতুন ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। স্থানীয় সিমকার্ডবিহীন যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই এবং ১০টি ফোন বুথও রয়েছে।
বিমানবন্দর পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ৪৫০ জনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একটি দল পর্যায়ক্রমে কাজ করে। তারা জীবাণুনাশক স্প্রে করে এবং মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
গত ২৭ জুলাই থেকে যানজট কমাতে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে একজন যাত্রীর সঙ্গে কেবল দুজন সঙ্গীকে বহির্গমন ও আগমন এলাকায় যাওয়ার অনুমতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে ১১ জুলাই বিমানের একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার ভুয়া খবরের ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। মিথ্যা দাবিটির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কক্সবাজারে নতুন আন্তর্জাতিক প্রবেশপথ: গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্যের অন্যতম হলো কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নীত করা। আগে থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিদেশি যাত্রীদের গ্রহণ করে আসছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্র তীরে বর্ধিত ১০ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর গত এপ্রিলে এটি আন্তর্জাতিক যাত্রী গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রায় ১৮ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবনটি নির্মাণাধীন রয়েছে। এটির কাজ শেষের পর্যায়ে চলে এসেছে। যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা মেটাতে বিমানবন্দর কার্যক্রমকে সুগম করার লক্ষ্যে এটি করা হচ্ছে।
উন্নত বিমানবন্দরটিতে এখন চওড়া আকারের বিমানের জন্য এবং রাতের বেলাও তা অবতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর হিসেবে সুনাম অর্জন করবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিওএবি) সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর কেবল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যানজট কমাবে না, বরং সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পর্যটন অর্থনীতিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাবে।’
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিমান সংস্থা এয়ার এরাবিয়া এরই মধ্যে কক্সবাজার থেকে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে অন্তত একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে।
ভারতে রপ্তানি বন্ধ থাকার মধ্যেও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বেড়েছে।
বাংলাদেশি রপ্তানির জন্য ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা আকস্মিকভাবে স্থগিত করার পর এ বছর আরেকটি বড় অগ্রগতি ঘটে। বিমানে পণ্য পরিবহনের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘদিনের স্থগিত পরিকল্পনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে বাধ্য হয় সরকার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কার্গো ফ্লাইট অনুমোদন সহজ করেছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়েছে। এতে করে ইতালি, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন কার্গো ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।
একই সময়ে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অধীনে জাপানি সহায়তায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ সুবিধাগুলোর ব্যাপক সংস্কার করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই বেশ অগ্রগতি লাভ করেছে। এই প্রকল্পে রয়েছে আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য আধুনিক স্ক্রিনিং সিস্টেম স্থাপন, অটোমেশন এবং তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজ।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত ২৭ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ কার্গো কার্যক্রম শুরু করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরও শীঘ্রই একইভাবে পণ্য পরিবহন শুরু করবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টাও চলছে।
কার্গো বিমানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেশের বিমানবন্দরগুলোতে অবতরণ, পার্কিং এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংসহ গুরুত্বপূর্ণ চার্জ হ্রাস করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল চালুর পথে: অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিমান চলাচল প্রকল্পে অগ্রগতির অন্যতম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।
জাপানের সহায়তায় ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে নির্মিত টার্মিনালটি এখন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে এটি পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। টার্মিনালটি চালু হলে শাহজালাল বিমানবন্দরে বছরে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে।
নতুন টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি পণ্য পরিবহন ক্ষমতা দুই লাখ টন থেকে ৫ লাখ ৪৬ হাজার টনে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টার্মিনালটিতে উন্নত অটোমেশন সিস্টেম এবং বর্ধিত স্টোরেজ সুবিধাসহ ৩৬ হাজার বর্গমিটারের কার্গো জোন রয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) সভাপতি কবির আহমেদ আসন্ন তৃতীয় টার্মিনালের বেশ প্রশংসা করেছেন। তিনি এটিকে উচ্চমানের অভিহিত করে বলেছেন, সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দর অবকাঠামোর সঙ্গে তুলনীয়। এখানে আধুনিক স্ক্যানিং, পরীক্ষা এবং তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামে বিমানবন্দরের রানওয়ের উন্নতি, রাডার স্থাপন এবং নতুন এয়ার নেভিগেশন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এতে বিমান নিরাপত্তা এবং এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত হচ্ছে।
নাজুক বিমানবন্দর পুনরুজ্জীবিতকরণ: আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার এবং অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উজ্জীবিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার সারাদেশে নাজুক বিমানবন্দরগুলো পুনরুজ্জীবিত করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হলো, বগুড়া বিমানবন্দরের সংস্কার, যা ২০০০ সাল থেকে অচল অবস্থায় রয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে বিমানবন্দরটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ১,২০০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার টার্গেট রয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে রানওয়েটি ৪ হাজার ৭০০ ফুট থেকে ৬ হাজার ফুটে উন্নীত করা হবে। তা দীর্ঘমেয়াদে প্রশস্ত বিমানের জন্য ১০ হাজার ফুট রানওয়েতে উন্নীত করা হবে।
বিমান বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘বগুড়া সক্রিয় করা হলে কেবল জেলা নয়, আশেপাশের অঞ্চলগুলোও উপকৃত হবে। অভ্যন্তরীণ বিমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণেও সহায়তা হবে।’
বগুড়া বিমানবন্দর ছাড়াও আরো পাঁচটি বিমানবন্দর- ঈশ্বরদী (পাবনা), ঠাকুরগাঁও, শমশেরনগর (মৌলভীবাজার), কুমিল্লা এবং লালমনিরহাট পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়টি বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে। এছাড়া রাজশাহী, সৈয়দপুর, কক্সবাজার, বরিশাল এবং যশোরে পাঁচটি সক্রিয় অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে।
অন্যান্য বিমানবন্দরগুলো চালু হলে এই বিমানবন্দরগুলোর ওপর চাপ কমবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিমান চলাচল খাতে অব্যাহত অর্জন আরো দীর্ঘ হবে।
নীতিমালা সংস্কার ও প্রশিক্ষণ: অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী পদক্ষেপগুলোর একটি ১৯৮৪ সালের বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালা সংস্কার শুরু করা। গত এপ্রিলে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের মতামত নিয়ে একটি খসড়া বিমান চলাচল নীতিমালা উত্থাপন করা হয়েছিল।
এই নীতিমালায় প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা এবং বিমানবন্দর পরিষেবায় দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পাশাপাশি নিরাপত্তা, প্রতিযোগিতা এবং স্থায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।
এছাড়াও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) মান অনুসরণ করে বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক, কার্গো হ্যান্ডলার এবং নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং জ্ঞান আদান-প্রদানের জন্য আইসিএও, আইএটিএ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতাও জোরদার করা হয়েছে।