সেলিনা শিউলী
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৫(বাসস) : চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার গতিশীল নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়টি গত এক বছরে পরিবেশ রক্ষা, বনভূমি সংরক্ষণ, শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, প্লাস্টিক বিরোধী পদক্ষেপসহ নানা কার্যক্রমে দৃশ্যমান সাফল্য অর্জন করেছে।
পলিথিন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ
পরিবেশ,বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বাসসকে জানায়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধনী ২০০২)-এর ৬ (ক) ধারা অনুযায়ী ২০০২ সালেই বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার (উৎপাদন,বিক্রয়,পরিবহণ ইত্যাদি) নিষিদ্ধ হয়। তবে কার্যকর বাস্তবায়নে গতি পায় ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে। এরপর থেকে সুপারশপ ও শপিংমলে পলিথিন নিষিদ্ধ হয় এবং নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। জুন ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত ৭৪৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ হাজার ৩৯৭ টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৭ লাখ ৬১ হাজার ১৪৩ টাকা জরিমানা আদায় ও একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও চারটি মামলা দায়ের ও সাতটি পলিথিন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। জব্দ হয় ২৯২ দশমিক ১৪ টন পলিথিন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে চলতি বছরের ১০ জুলাই পলিথিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরান ঢাকায় যৌথবাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।
প্লাস্টিকমুক্ত সচিবালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত করতে ১ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরপর ৮ জুলাই ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দি সেক্রেটারিয়েট: এ ফিউচার ফর সিঙ্গেল প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক সেমিনারে ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি)-কে নিরুৎসাহিত করতে ১৭টি পণ্যকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করে গত বছরের ২৮ আগস্ট এবং ১ জুন থেকে স্ট্র, স্টিরার ও কটন বাডের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইডদের নিয়ে ‘জিরো ওয়েস্ট ব্রিগেড’ গঠন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও এসইউপি ব্যবহার পরিহার বিষয়ক বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষা
পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অনুমোদন ছাড়া সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল না করাসহ ছয়টি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি, পর্যটনের বিকল্প হিসেবে দ্বীপটির জনগণের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, পরিবেশ সংরক্ষণে অবদানের জন্য ৬টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২৪।
যুগোপযোগী শব্দ দূষণ বিধিমালা ও নিয়ন্ত্রণ
শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬-কে যুগোপযোগী করে ২০২৪ সালে খসড়া বিধিমালার ওপর জনসাধারণের মতামত নিতে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এদিকে, আগস্ট ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত সারাদেশে ৪৮৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৫ লাখ,৫৫ হাজার ৫৫৭ টাকা টাকা জরিমানা আদায় ও ১ হাজার ৬৪৪ টি হর্ন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশেপাশের দেড় কিলোমিটার এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়।
বনভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান
অবৈধ দখল রোধে ১৯টি জেলার পাহাড়-টিলার তালিকা করে প্রায় ৫ হাজার ৯৩ একর দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হয়েছে।
পাহাড়-টিলা বা বনভূমি অবৈধভাবে ব্যবহার করায় বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজায় বিসিএস (প্রশাসন) একাডেমির ৭০০ একর জমি, রাঙ্গুনিয়ার সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রকল্পের ৯ একর জমির ছাড়পত্র বাতিল, বাফুফের ২০ একর, সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ৯ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৯৩ একর এবং শহীদ এ টি এম জাফর আলম ক্যাডেট কলেজের (বেসরকারি) ১৫৫ দশমিক ৭০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা
মধুপুরের শালবন পুনরুদ্ধারের জন্য ৩ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ৬ হাজার ৬১০ একর শাল ও একই প্রজাতির অন্যান্য গাছ লাগানো হবে। বর্তমানে ৪৫ হাজার একর বনভূমির সীমানা নির্ধারণ ও বসবাসরত জনগণের গৃহ জরিপ চলছে। পাশাপাশি ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকার প্রকল্পে ১ হাজার ১১১ একর বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া, হারিয়ে যাওয়া ময়ূর ফিরিয়ে আনার জন্য মধুপুর জাতীয় উদ্যানে ১৮টি ময়ূর ও ৫৩টি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিলুপ্ত প্রজাতির দেশি ময়ূর ফিরিয়ে আনাসহ সাম্বার,কালোমুখ প্যারা পাখি,উল্লুক ও হাতির সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে সফল উদ্যোগ। মানুষের সাথে হাতি ও অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব নিরসনে ১৫৯ টি ইআরটি টিম গঠন ও জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সিলেটের মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল এবং ক্যাপটিভ হাতি সংরক্ষণের অভয়ারণ্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহ বন বিভাগের শেরপুর ও জামালপুরে ৪৪৫ একর জমিতে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর খাদ্যোপযোগী বাগান তৈরি হচ্ছে। চুনতি বনাঞ্চলে নেওয়া হয়েছে ৩ বছর মেয়াদি ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জলবায়ু সহনশীল বনায়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৭ হাজার ১৮২ একর জমি থেকে আকাশমনি গাছ সরিয়ে প্রাকৃতিক বন ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। মধুপুর ও শেরপুরেও আকাশমনি গাছ সরিয়ে বনকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে,যাতে হাতির করিডোর পুনরায় কার্যকর হয়। পূর্বাচলের ১৪৪ একর ভূমি বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
সুন্দরবন সংরক্ষণ
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পকারখানা বা প্রকল্প নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ায় সীমানা নির্ধারণ এবং ডিজিটাল ম্যাপিং এর কাজ শেষ হয়েছে।
ইটভাটা ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ
২০২৪-২৫ অর্থবছরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ৬৬০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ হাজার ৬৬৭টি মামলায় ৩০ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৮৩০টি ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়।
এদিকে, বায়ুদূষণ কমাতে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (এনএকিউএমপি) বাস্তবায়নে নেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্ট (বিক্যাপ)। ঢাকা শহরে জিরো সয়েল কার্যক্রমের আওতায় রাস্তার পাশে খালি জায়গায় এবং সড়ক বিভাজকে ঘাস লাগানো হচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২৬২টি মোবাইল কোর্টে ৩ হাজার ৬৩টি মামলা করা হয়। এসব অভিযানে ২৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বায়ুদূষণকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দ ও বর্জ্য দূষণ, সীসা ও ব্যাটারি রি-সাইক্লিং, জলাশয় ভরাট, খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রাখাসহ নানা অপরাধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অভিযানে ৪৮৪টি ইটভাটা বন্ধ ও চিমনি ভাঙা হয়েছে, ১৩৩টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে, ১৬টি পলিথিন কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের, এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২ জনকে এবং ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ ট্রাক সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
ইউক্যালিপটাস ও একশিরা গাছের রোপণ নিষিদ্ধ
জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্যালিপটাস ও একশিরা গাছের চারা উৎপাদন, বিপণন, রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নার্সারির এসব গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে ‘গাছ থেকে পেরেক তুলে ফেলা’ শীর্ষক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো নেচার লানিং সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে বন,বন্যপ্রাণী ও শব্দদূষণ রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় উদ্যান,ইকোপার্ক ও উদ্ভিদ উদ্যানে প্লাস্টিকের ব্যবহার ও বনভোজনের আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাবার শিল্পে অগ্রগতি
বাংলাদেশ রাবার বোর্ড ১৫টি প্রশিক্ষণে ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়। রাবার খাত লোকসান কাটিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা মুনাফা করে। শ্রীলঙ্কা থেকে উচ্চফলনশীল ক্লোন আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাবার গবেষণা নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জনবল নিয়োগ ও প্রশাসনিক উন্নয়ন
১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ২৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১০ জন ইন্টার্ন ৩ মাসের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৫৬৯টি নতুন পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিসিএস (পরিবেশ ও বন) ক্যাডার গঠনে নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পদোন্নতি ও প্রশিক্ষণ
একজন পরিচালক অতিরিক্ত মহাপরিচালক হন। উপ-পরিচালক থেকে পরিচালক পদে ১০ জন, ৫ জন সহকারী পরিচালক এবং ৩ জন কেমিস্ট পদোন্নতি পান।
আইন ও নীতিমালার সংশোধন
পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬, ওজন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৪ এবং চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ এর সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারে উৎসাহ
সরকারি নির্মাণে পোড়ানো ইটের বদলে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি শুল্ক কমিয়ে ও স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
অভিযোগ ব্যবস্থাপনা
মন্ত্রণালয়ে ২০৯টি অভিযোগ আসে, যার মধ্যে ৭৪টি নিষ্পত্তি হয়। চলমান আছে ১১৭টি এবং সত্যতা মেলেনি ১৮টির। ২৫ জন অভিযোগকারীকে ধন্যবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২৫০ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে এবং ২২৫টি প্রকল্পে ১২০ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ টাকা অর্থছাড় করা হয়েছে।
রাজশাহীর বিল জোয়ানা ও বিল ভেলাসহ কয়েকটি জলাভূমিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা এবং অন্যান্য এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন সংশোধন ও ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট ২৯৩ টি অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৬৮৪ টি প্রাণী উদ্ধার করেছে। সাফারি পার্ক থেকে লেমুরও উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বন্যপ্রাণী ও বৃক্ষ নিধনের অপরাধে কারাদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষ্যে বিপিএলের সহযোগিতায় ঢাকাসহ তিনটি স্টেডিয়ামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর সময়কে ‘তারুণ্যের উৎসব’ বিবেচনায় এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টার নেতৃত্বে গৃহীত এসব কার্যক্রম দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।