ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : আগামী বছরের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে তৃতীয় পর্যায়ে ৯১টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার।
গতকাল বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখা-২ এর উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে যোগ্য এসব হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শর্তে বলা হয়, প্রকাশিত তালিকার কোনো এজেন্সি যৌক্তিক কারণ ছাড়া ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে হজযাত্রী নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মক্কা-মদিনায় প্রদেয় সুবিধাদি বিষয়ে হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পাদন নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই প্রথম পর্যায়ে ১৫৫টি ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৩৪টি যোগ্য হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে সরকার।
প্রত্যেক এজেন্সিকে ২০২৬ সালে সৌদি সরকার নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী পাঠাতে হবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন আরবি ভাষায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ হজ গাইড নিয়োগ করতে হবে বলে শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। কোনো এজেন্সি যদি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া তার এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সি কোনো অভিযোগের কারণে দণ্ডিত হলে বা কোনো যোগ্যতার ঘাটতি দেখা দিলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে।
এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নবায়নের শর্তে যোগ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেসব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে তাদের নবায়নের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন না করলে বা নবায়ন না করা হলে এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল হবে বলেও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর সনদ দাখিল করে হজ পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।