সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ করে তা কাজে লাগাতে হবে : ফরিদা আখতার

বাসস
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০৫
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। আর এ জন্য মেরিন স্পেশাল প্লানে (এমএসপি) যে পরামর্শ এসেছে, সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

ফরিদা আখতার আজ সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্লাটফর্মের আন্তঃমন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প এই কর্মশালার  আয়োজন করে।  

ফরিদা আখতার বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরো গভীরভাবে কাজ করতে।" 

তিনি আরও বলেন, কেননা আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্য সম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্র মৎস্য সম্পদ নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেনি। 

উপদেষ্টা বলেন, মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষঙ্গিক খাতের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, "পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোন উন্নয়ন হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।" আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট হয়। তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, মাছের চরিত্র অনুধাবন করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। কেননা সব মাছের স্বভাব-চরিত্র, কাজ, খাদ্যাভ্যাস এক না। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা করতে হবে। কেননা ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায় তাতো অন্য মাছ খায় না। তাই তার জন্য একটি পরিবেশ দরকার। 

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। 

তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা জরুরি। এ খাতে অংশীজন ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণের পাশাপাশি গবেষণা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

জাবের আরও বলেন, দেশের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ জরুরি, বিশেষ করে একটি “অল ওয়েদার ভেসেল” থাকা প্রয়োজন, যা গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে সারা বছর ব্যবহার করা যাবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প (এসসিএমএফপি)-এর পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। 

পরে “মেরিন স্পেশাল প্ল্যানিং রোডম্যাপ (খাতসমূহের প্রস্তুতি)” বিষয়ে টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এসসিএমএফপি’র ডিপিডি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম এবং এমএসপি-প্রকল্পের টিম লিডার মো. গোলাম মোস্তফা।

আলোচনা পর্বে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ইএমআরডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমইএফসিসি), পরিকল্পনা কমিশন, বিভিন্ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পর্যটন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
‘খাসোগি হত্যার বিষয়ে' কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ : ট্রাম্প 
পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার এসেছে : এ্যাড. দীপেন দেওয়ান
আস্থার সংকটে বিদেশমুখী হচ্ছেন রোগীরা : ডা. শাকিল গনি
ইউক্রেনকে ৭১০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর
খুবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে স্মার্ট কার্ড ও বুক রিটার্ন স্টেশন উদ্বোধন
দিনাজপুরে বিএনপি প্রার্থী পিনাক চৌধুরীর গণসংযোগ সভা
তারেক রহমানকে নিয়ে নির্মিত ‘সংকট সংগ্রামে সাফল্য’ মুক্তি পাচ্ছে কাল
জাপানের অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ১
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ১,৭৪৪টি মামলা
শান্তি আলোচনায় মার্কিন সম্পৃক্ততা বাড়াতে তুরস্কে যাচ্ছেন জেলেনস্কি
১০