জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠান: আদেশ জারি

বাসস
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫০ আপডেট: : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৩

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এর ৩-এ বলা হয়েছে, জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশে এই আদেশ এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।

আদেশের ৪-এ বলা হয়েছে, (১) গণভোটের ব্যালটে প্রশ্ন উপস্থাপন করা হইবে যে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’ ; (হ্যাঁ/ না):

(ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হইবে।

(খ) আগামী জাতীয় সংসদ হইবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ কক্ষ গঠিত হইবে এবং সংবিধান সংশোধনী করিতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হইবে।

(গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল হইতে ডেপুটি স্পীকার ও কয়েকটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০ টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হইয়াছে-সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকিবে।

(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

(২) ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।

আদেশের ৫ এ বলা হয়েছে, গণভোট অনুষ্ঠান। এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে।

আদেশের ৬ এ গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। গণভোট আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হবে।

আদেশের ৭ এ বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন, উহার কার্যাবলি ও বিলুপ্তির কথা বলা হয়েছে। ৭(১) এ গণভোটে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট (হ্যাঁ) সূচক হলে-(ক) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। (খ) ওই নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন; (গ) পরিষদ উহার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্য দিবসের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ এবং গণভোটের ফলাফল অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে ফেনীতে এনসিপির লাঠি মিছিল
ছয়টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসি’র সংলাপ অনুষ্ঠিত
পুঁজিবাজারে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিএসইসি-ডিএসই’র যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ভিক্টর পরিবহনে অগ্নিসংযোগ : আওয়ামী লীগ নেতা শামীম রিমান্ডে
এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের বাণিজ্য রূপান্তরে ডব্লিউটিও’র দৃঢ় সমর্থন
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে
ঠাকুরগাঁওয়ে লকডাউনের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ
চট্টগ্রামে টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেফতার
সুন্দরবনের ইকো রিসোর্ট পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা
১৮ মাসের মধ্যে ব্যাংক আমানতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি
১০