বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নের তাগিদ পিকেএসএফ চেয়ারম্যানের

বাসস
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৫
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান আজ রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় পিকেএসএফ ভবনে বক্তব্য রাখেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত কার্যক্রমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার পিকেএসএফ ভবনে সম্প্রসারিত কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাট (ইসিসিপি-ড্রাট) প্রকল্পের অধীনে এক কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে খরার প্রভাব মারাত্মকভাবে অনুভূত হচ্ছে। এ অঞ্চলের প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষকে রক্ষা করতে সুচিন্তিত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। 

পিকেএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর অর্থায়নে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্রকল্প বরেন্দ্র অঞ্চলের নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার ১৪টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ‘আশা করি, এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

ইসিসিপি-ড্রাট প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংস্থার মোট ৬৬ জন কর্মকর্তাকে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশল বিষয়ে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫-১৬ ও ১৯-২৩ জানুয়ারি মেয়াদে দু’টি ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণটিতে জলবায়ু অর্থায়ন, প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত ও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন এবং দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংবলিত ইসিসিপি-ড্রাট প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৭ মেয়াদে বাংলাদেশের খরাপ্রবণ এলাকাসমূহের দরিদ্র, প্রান্তিক ও জলবায়ু অভিঘাতে ঝুঁকিপ্রবণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

প্রকল্পটি মূলত মাত্রাতিরিক্ত খরা প্রবণ জেলাসমূহে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিকাজ এবং সুপেয় পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃত্রিম উপায়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর পুনঃভরণ, পুকুর ও খাল পুনঃখনন এবং খরা সহিষ্ণু ফসলের চাষ সম্প্রসারণ। প্রকল্পটির মাধ্যমে ২.১৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান সংস্কার হচ্ছে খুনিদের বিচার করা : হাসনাত আবদুল্লাহ
বিএনপির ৩১-দফা ‘রাজনীতির মহাকাব্য’: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা কমলে দেশ মহাসংকটে পড়বে : এবি পার্টির চেয়ারম্যান
জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে বেজাকে দেওয়া সোনাদিয়া দ্বীপের ভূমি বন্দোবস্ত বাতিল
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার
ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হোসেনকে
ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন সংগ্রাম করছে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান
ঢাকায় চলবে বৈদ্যুতিক বাস : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়ার পথে
১০