মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

বাসস
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:০১ আপডেট: : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:১৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : দুর্নীতি দমন কমিশনের আনা এক মামলায় ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এছাড়া দুর্নীতির আরেক মামলায় তার রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে কারাগারে থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। 

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের আরেক মামলায় মতিউর রহমানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই অস্ত্র আইনের মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৮ জানুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রত্যেকটি মামলাতেই মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী লায়লা কানিজ ও মতিউর রহমানকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশে মিথ্যাও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অসঙ্গতিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও মালিকানা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন মতিউর রহমান। তাই তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭ (১) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হলো।

আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউর কন্যা ফারজানা রহমান ইস্পিতা, মতিউর রহমান এবং স্ত্রী লায়লা কানিজকে। এই মামলার এজাহারে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলা তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ছাড়াও অন্য একটি মামলায় মতিউর পুত্র ছাগলকাণ্ডের আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব এবং মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যপ্রমাণসহ ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার মুক্তি পেলো
মিরপুরে এনসিপির আনন্দ মিছিল
বিশেষ অভিযানে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ
খুলনায় বিএনপির ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
নেত্রকোণায় হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী উৎসব অনুষ্ঠিত
চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে বিশ্বমানের শিল্পায়ন গড়ে তুলবো : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
রাজশাহীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
জোটবদ্ধ হয়ে গণভোটের জন্য একটি রাজনৈতিক দল চাপ সৃষ্টি করছে : ফখরুল
ছাত্ররাই জাতির স্বপ্নসারথি, তাদের হাত ধরেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ডা. শফিকুর রহমান
পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরাইলি বাহিনী
১০