নীলফামারী, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, দিনের ভোট দিনে চাই, রাতে চাই না। বাংলাদেশে হাসিনার মৃত ব্যক্তিদের ভোট আর চাই না। আয়নাঘর চাই না, ডিবি হারুনের অত্যাচার আর চাই না। বিনা কারণে মামলায় জেল খাটতে চাই না।
আজ মঙ্গলবার নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অর্থনৈতিক ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণতান্ত্রিক ঘাটতির উত্তরণ, নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন আমরা আওয়াজ শুনতে পাই যে, সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা করতে পারবেন না। আগে সংসদ নির্বাচন হবে। সুযোগ বুঝে কোপ দিয়েন না, কোপ খাওয়ার মানুষ আমরা। ধৈর্য্য আমাদের আছে। ধৈর্যের বাধ যদি ভেঙ্গে যায় আল্লাহ ছাড়া বিএনপিকে দমিয়ে রাখার কোনো শক্তি নেই।
হাসিনার আমলের অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসিনার অত্যাচার ভুলি নাই। তারা যুবদল-ছাত্রদলের চোখ উপড়ে ফেলেছে, হাত কেটে দিয়েছে। আমার মা খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে পাঁচ বছর জেলে রেখেছে। আমি কি ভুলিতে পারি? সেই ষড়যন্ত্র আবার বিএনপির বিরুদ্ধে! নীলফামারীর ভাইয়েরা শক্ত হাতে যে দল আপনারা ধরে রেখেছেন সেই দলের নেতাকর্মীদের আমি সাহস দিয়ে বলতে পারি, আল¬াহ ছাড়া পৃথিবীতে কোনো শক্তি নাই আমাদের খালেদা জিয়ার, শহীদ জিয়ার, তারেক জিয়ার দলকে আর ডুবাইতে পারবে না।
জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘‘নেতা তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন- শুধু জুলাই আগস্টের বিপ্লব নয়, ১৬ বছর আমারা রাস্তায় থেকে আন্দোলন করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। আমরা হরতাল করেছি, অবরোধ করেছি তারই সফলতায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র বিপ্লব’’।
জাতীয় পার্টি বিলিন হওয়ার পথে মন্তব্য করে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, “২০১৪ সালে ক্যান্টনমেন্টে এরশাদের নাকি অসুখ, নড়তে পারে না, চড়তে পারে না। তখন হিন্দুস্থানের এক স্বৈরাচার বললো শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচনে আপনাকে যেতে হবে। হাসিনাকে সহায়তাকারী সেই জাতীয় পার্টি এখন বিলীন হওয়ার পথে।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ সোয়েম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রাহেদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মাহাবুব উর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী, ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেয়াজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান সুমন, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।