চট্টগ্রাম, ৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী ও পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ৩৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে সিএমপি’র জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-বাকলিয়া থানার ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম মুন্না (৩৫), মো. শাকিল (২৩), আবদুল হামিদ প্রকাশ রিপন (৩৬)। সদরঘাট থানার সাকিব আলম প্রকাশ মিনহাজ উদ্দিন সাকিব (২০)। চকবাজার থানার মো. মোর্শেদ আলম (৩৫), মো. জুয়েল। বায়েজিদ বোস্তামী থানার মো. রিপন (৪৫), নগেন (২০)। পাঁচলাইশ মডেল থানার আট নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন (৪৩), চান্দগাঁও থানার আহমেদ (৪৪), মো. ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ বাবু, মো. আরমান (৪০), মেহেদী হাসান আকাশ (২২), মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩), মো. ইদ্রিস (২৭)। বন্দর থানার মো. অন্তর প্রকাশ মেহেদী হাসান হৃদয়। খুলশী থানার আট নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ আরাফাত হোসেন সাদ্দাম (৩৩)। ডবলমুরিং মডেল থানার সংঘাতে জড়িত ১৪ ও ১৫ বছরের দুই শিশু। আবুল কালাম আজাদ (৫৮), মো. ইউনুছ ইসলাম প্রকাশ তারেক (২৫)।
হালিশহর থানার দিদার (৪২)। পাহাড়তলী থানার নগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অনিক দাশ প্রকাশ নিঝুম (৩১)। আকবরশাহ্ থানার বেলাল প্রকাশ পানি বেলাল (৪২), ইপিজেড থানার মো. শাকিল (২৫)। কর্ণফুলী থানার জুলধা ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সহ-সম্পাদক আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সুমন (৩০) ও কোতোয়ালী থানার মো. জনি (৩০), মো. সোহেল (২১), হাসান (২০), মো. সুমন (২৬), জুয়েল দাস (৩০), মো. রাব্বী (২৪), মো. রাসেল সর্দার (৩২) ও মোহাম্মদ আলী (৩০)।
সিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।