চট্টগ্রাম, ৭ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : নিজেদেরকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি’ পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামের এক বেসরকারি চাকরিজীবীকে অপহরণ করেছে একদল লোক। অপহরণের পর ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ ও ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক আদায় করেছে অপহরণকারীরা। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে এবং মুক্তিপনের ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে।
অপহরণের শিকার আবেদিন আল মামুন চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) পদে কর্মরত আছেন।
গ্রেফতরা হলেন- নগরীর উত্তর কাট্টলীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে নাজমুল আবেদিন, সিটি গেট এলাকার মাইনুল আমিন পারভেজের ছেলে নইমুল আমিন ইমন (২২), সিডিএ ১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা আরাফাত হোসেন ফাহিম (২২) ও রিসতি বিন ইউসুফ (২৩)।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হুসাইন মোহাম্মদ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাসা থেকে চাকরিজীবী আবেদিন আল মামুনকে অপহরণ করে। এসময় তার গাড়ি ও চালককে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এরপর পতেঙ্গা সাগরপাড় এলাকা ও পাহাড়তলীর কর্নেলহাট জোন্স রোড এলাকাসহ পাহাড়তলী এবং আকবর শাহ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে তারা। এই সময়ের মধ্যে ভিকটিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা নগদ এবং ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক লিখে নেওয়া হয়। টাকা পেয়ে ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যান তারা। পরে খবর পেয়ে পাহাড়তলী থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সামনে থেকে গাড়িসহ আবেদিন আল মামুন ও তার ড্রাইভার জুয়েলকে উদ্ধার করে।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাত দুইটার সময় ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালিয়ে পৃথক এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।