সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা 

বাসস
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০০:৫১
ছবি : আইএসপিআর

ঢাকা, ৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ লাখো পুণ্যার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো পুণ্যার্থী। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহা অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে দুই দিন চলবে। আগামীকাল (৬ এপ্রিল) লাঙ্গলবন্দের ১৯টি ঘাটে লাখো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নেবেন। 

ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নেবেন বলে জানা যায়। এছাড়াও, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে অনুষ্ঠিত পবিত্র অষ্টমী স্নানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ সকল ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র টহল ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, ট্রাফিক কন্ট্রোল পোস্ট ও চেকপোস্টের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিকভাবে সহায়তা করছে।

দেশের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী ও বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজারের রামু, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর, গারাইল এবং ভুঞাপুর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর তীরে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার শ্রী শ্রী বার্থী মন্দিরে ‘বার্ষিক মৈত্রী মহিমান্বিত পূজা’, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কোনাবাড়ি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে শ্যামা পূজা, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন মন্ডপে এবং রায়ের বাজার দুর্গা মন্দিরে পূজা উপলক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। সেনাবাহিনী প্রতিটি পূজামণ্ডপ এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

এছাড়াও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পূজা কমিটি ও পুরোহিতদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা সবার মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে দেশের ধর্মীয় উৎসবসমূহে বরাবরের মতো এবারও নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা প্রদান করেছে। সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব, তৎপরতা এবং আন্তরিকতা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আস্থা ও কৃতজ্ঞতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতেও দেশের যেকোনো ধর্মীয় ও জাতীয় আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
প্রয়াত বিএনপি নেতার পরিবারের পাশে তারেক রহমানের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার সায়েম
গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের কর্মসূচি
রাজবাড়ীর সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ঢাকায় গ্রেফতার
এফবিজেএ-এর প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
জবি শিক্ষক সমিতির ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা
নিরাপত্তা উদ্বেগ নিরসনে বিমসটেক-ইউএনওডিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ক্লাস পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা প্রশাসনের
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ কার্যকরের তাগিদ তথ্য উপদেষ্টার
জবির ‘বি’ ইউনিটের বিষয় নির্বাচনের জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে মিয়ানমার ভূমিকম্পে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে
১০