ঢাকা, ২ জুন, ২০২৫ (বাসস): সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও বর্তমানে এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি (সংযুক্ত), খাগড়াছড়ি বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত শেখ রফিকুল ইসলাম (শিমুল) ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি দুর্নীতির মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক জানায়, শেখ রফিকুল ইসলাম একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দ্বারা ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া, তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত মোট ২ কোটি ৮৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের বিরুদ্ধেও ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া, স্বামী শেখ রফিকুল ইসলাম কর্তৃক ঘুষ ও দুর্নীতির অর্থের মাধ্যমে তার পক্ষে এই সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগও রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে, ফারহানা রহমান এবং শেখ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।