ঢাকা, ১৫ জুন, ২০২৫ (বাসস): ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে বিধিবহির্ভূতভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ভবন নির্মাণের অভিযোগে আজ বনানীতে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদক জানায়, 'সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য 'পুনর্বাসন ভিলেজ' নির্মাণের জন্য ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১২টি ভবনে ১ হাজার ৩৪৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়। তবে, ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও সচিবসহ অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য উক্ত ৪০ একরের মধ্য থেকে ১ দশমিক ১৫ একর জায়গায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী নামক ৪টি ভবনে ২৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে মর্মে অভিযানকালে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।
দুদক আরও জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থে অধিগ্রহণকৃত জায়গায় কীভাবে, কোন নীতিমালায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সেতু ভবন থেকে সংগ্রহ করে দুদক টিম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় এ প্রক্রিয়ায় অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।অভিযানকালে সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ ও দলিলাদি পর্যালোচনার পর কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।