ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর মিরপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে মানি একচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত পাঁচ আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), সৈকত হোসেন (৫২), মো. সোহাগ হাসান (৩৪), জলিল মোল্লা (৫২) ও পলাশ আহমেদ (২৬)।
আজ মঙ্গলবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন তাদের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ জুন পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে তার বাসা থেকে ৩ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৬ জুন বরিশাল জেলার মুলাদী থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি সৈকত হোসেনকে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা ও মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ জুন যশোর জেলার কোতয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি মো. সোহাগ হাসানকে ভাড়া ঘর থেকে গ্রেফতার করে। আশুলিয়া ও ময়মনসিংহ থেকে জলিল ও পলাশ মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৭ মে মিরপুর-১০ নম্বরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পেছনের গলিতে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ীর নাম জাহিদুর রহমান। তিনি মিরপুর-১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করেন। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় জাহিদুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মামলার ভুক্তভোগী রাসেলের মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে মাহমুদ ফরেইন এক্সচেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠান আছে। ভুক্তভোগীর শ্যালক মামলার বাদি উক্ত প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে। গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯ টায় বাদি ও ভুক্তভোগী রাসেল একসঙ্গে ২১ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫ টাকা, ৩ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার ও ১১ হাজার ৫০০ রিয়াল একটি ব্যাগে নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ৯ টা ৪০ মিনিটে মিরপুর মডেল থানাধীন সেকশন-২ শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝের গলির মাথায় পৌঁছামাত্রই তিনটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন ব্যক্তি তাদের পথরোধ করে এবং একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদির মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ জোর করে ছিনিয়ে নেয়। এসময় অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি পিস্তল দিয়ে ফাকা গুলি করে এবং অন্য একজন ব্যক্তি ধারালো চাকু দিয়ে বাদির কোমরের বাম পাশে আঘাত করে।