ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের পৃথক দুইটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি সিলেট-৪ আসনের নবম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা সম্পদ অর্জন করেন। তিনি নিজের নামীয় পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ৩ কোটি ৬ লাখ এবং মোট উত্তোলনের পরিমাণ ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকাসহ মোট ৬ কোটি ৪ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে এজাহার নামীয় আসামি ইমরান আহমেদের নামে অর্জিত অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী । দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং ১১টি ব্যাংক হিসাব ও ৫টি কার্ড হিসাবের মাধ্যমে মোট ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুস’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে এজাহার নামীয় আসামি আসামি খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নামে অর্জিত অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।