ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য চীন সরকারের পক্ষ থেকে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির (সিআইডিসিএ) মাধ্যমে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) অর্থায়ন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চীনের এই অনুদানের মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পুষ্টি-সমৃদ্ধ চাল, ডাল ও রান্নার তেল ক্রয় করবে, যা কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য তিন মাসের খাদ্য রেশন সরবরাহে যথেষ্ট।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্ক্যালপেলি বলেন, ‘চীনের এই পর্যাপ্ত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে। মানবিক প্রয়োজন দিন দিন বেড়ে চলেছে, কিন্তু আমাদের সম্পদ অত্যন্ত সীমিত। এই অবদানের ফলে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে জীবনরক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।’
চীন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য' অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন বলেন, ‘এই অনুদান অবশ্যই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এবং মানবিক সংকট মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’
রোহিঙ্গা সংকটের অষ্টম বছরে এসে বাংলাদেশে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে প্রায় দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গার আগমনে ইতোমধ্যে সংকটপূর্ণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও সীমিত সম্পদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী এক বছরে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আরও ১২ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
স্ক্যালপেলি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি এই সহায়তা কেবল আমাদের অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতা নয়, বরং চলমান সংকট মোকাবিলায় চীনের আরও বৃহৎ ভূমিকা পালনের শুরু।’