চট্টগ্রামে ৬ মাসে এনআইডি সংশোধনে ৪৫,৬৯৭টি আবেদন নিষ্পত্তি

বাসস
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৯:২৫
ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ৩০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় চট্টগ্রাম জেলায় গত ৬ মাসে সর্বমোট ৫৪ হাজার ৪০৯টি সংশোধন আবেদন জমা পড়লেও নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৬৯৭টি। যা মোট আবেদনের প্রায় ৮৪ শতাংশ।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।

তিনি জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ‘খ’ ও ‘খ-১’ ক্যাটাগরিতে জমা পড়ে ৩৩ হাজার ৮৮৭টি আবেদন। আর ‘গ’ ও ‘ঘ’ ক্যাটাগরির নতুন আবেদন আসে আরও ৭ হাজার ৫২২টি। মোট আবেদন সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪ হাজার ৪০৯টি।

এর মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত ৪৫ হাজার ৬৯৭টি আবেদনের ভেতরে সম্পূর্ণভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে ২৬ হাজার ৭৯৩টি (৫৮.৬৩ শতাংশ), আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে ৬ হাজার ১৮৩টি (১৩.৫২ শতাংশ) এবং নামঞ্জুর করা হয়েছে ৮ হাজার ৪৩২টি আবেদন (১৮.৪৬ শতাংশ)। বর্তমানে অনিষ্পন্ন রয়েছে ৮ হাজার ৭১২টি আবেদন।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ আরও জানান, এনআইডি সংশোধনের আবেদন চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। ‘খ’ ও ‘খ-১’ ক্যাটাগরির সাধারণ ধরনের আবেদনগুলো ৭-১০ কর্মদিবসে নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু ‘গ’ ও ‘ঘ’ ক্যাটাগরির আবেদনগুলো তুলনামূলক জটিল হওয়ায় (পূর্ণ নাম, পিতামাতার নাম পরিবর্তন, ১০ বছরের বেশি বয়স সংশোধন) তা নিষ্পত্তি সময়সাপেক্ষ হয়।

বিশেষ করে ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদনগুলোকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এ ধরনের ২২ হাজার ২৪৮টি আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ২০ হাজার ৭৪৭টি নিষ্পত্তি হয়েছে। এখনও ১ হাজার ৫০০টি আবেদন তদন্তাধীন রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, এনআইডি সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি মামলার মতো, জমি বিক্রির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি মামলা করতে চায়, তাকে এনজিপি নিতে হয়, জমি বিক্রি করতে গেলে দলিল লাগে। তেমনি এনআইডি সংশোধনের জন্যও যথাযথ ডকুমেন্টস দাখিল করতে হয়।

তিনি বলেন, অনেকেই নিজেরা না এসে কম্পিউটার দোকানের মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করেন। এসব ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র দাখিল না করায় অনেক আবেদনই নামঞ্জুর হয় বা অনিষ্পন্ন থাকে।

এজন্য তিনি নাগরিকদের সরাসরি উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে সঠিক নির্দেশনা ও সহায়তা পাওয়া সহজ হবে। যারা নিজেরা অনলাইনে আবেদন করতে চান, তাদের নির্বাচন কমিশনের পোর্টাল থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করার অনুরোধ জানানো হয়। প্রয়োজনে ১০৫ নম্বরে ফোন করে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেবার জন্য দলিলে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেন। যেমন- শিক্ষা সনদ, পাসপোর্ট, জন্মসনদ বা সন্তানের স্কুল সনদে একেকভাবে তথ্য উল্লেখ থাকে। পরে এনআইডি মিলাতে গিয়ে নতুন করে সংশোধনের আবেদন করেন, যা সমস্যা তৈরি করছে।

সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে প্রতিদিন চট্টগ্রামে গড়ে ৬০-৭০টি এনআইডি সংশোধনের নতুন আবেদন জমা পড়ে। নির্বাচন কমিশন যৌক্তিক আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে নাগরিকসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
অনিয়ম, হয়রানি, দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তিন এনফোর্সমেন্ট অভিযান
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের জন্য আগামীকাল দেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া 
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার
রাসিকের ৮০৬ কোটি টাকার বাজেট 
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না: মৎস্য উপদেষ্টা
ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা নিয়ে রায় দেবেন বিচারকরা
‘ইরানকে কিছুই দিচ্ছি না, তাদের সঙ্গে কথাও বলছি না’ : ট্রাম্প
১২ দিনের যুদ্ধে নিহত নয়শ’র বেশি : ইরানের বিচার বিভাগ
জাতিসংঘ পারমাণবিক পর্যবেক্ষক প্রধানকে হুমকি : ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের নিন্দা
ভারতের রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১২ 
১০