ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ শহীদ পরিবার ও হাজার হাজার আহতদের জঙ্গী তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো। বিপন্ন করা হতো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতারাসহ অনেকের জীবন।
তিনি আরও বলেন, ‘গণহত্যাকারিরা পেতো বীরের খেতাব। গণঅভ্যুত্থান কখনও একক কারও চিন্তা বা অবদানে সফল হয় না। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানেনা।’
আজ গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে “গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবি পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ সকালে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়াও সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু, জেএসডির তানিয়া রবসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গণতন্ত্র মঞ্চ ও এবি পার্টির যৌথ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের নৃশংস হামলার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আবেগরূদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া প্রতিটি মানুষের স্মৃতি ও গল্প আছে। কিন্তু আমরা ঘুরে ফিরে অল্প কিছু মানুষের স্মৃতি ও গল্পই কেবল শুনছি। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ৯৮ ভাগ মানুষের কথা আমরা অনেকে শুনতে পারিনি।’ এবি পার্টির পক্ষ থেকে একটি জন-গণ-শুনানীর দাবি জানানো হয়েছিল যার মাধ্যমে সবাই নিজ নিজ স্মৃতি ও নির্যাতন ভোগের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবে, কিন্তু সেরকম কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু মনে করেন, ‘অভ্যুত্থানের আগে চরম নির্যাতনে যারা ধৈর্য্য, ঐক্য ও ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা আজ সব পেয়ে দিশাহারা হয়ে গেছেন।’ এই বেশি পাওয়ার অপব্যবহার করলে তার প্রতিফলও একদিন ভোগ করতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।