ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বিমান বিধ্বস্তে আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালে অযথা ভিড় না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, এতে দগ্ধ শিশুদের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।
আইন উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউটের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকরা প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন। তবু হয়ত আরো কিছু হৃদয়বিদারক খবর শুনতে হতে পারে আমাদের। আল্লাহ্ ভরসা।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা হাসপাতালে অযথা ভিড় করবেন না। এতে দগ্ধ শিশুদের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘নিহত ও আহত শিশুদের ছবি বা ভিডিও আপলোড করার থেকে বিরত থাকুন। শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের জন্য জুলুম হয় তাতে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা রক্ত দিতে চান, তার আগামীকাল ন্যাশনাল বার্ন ইউনিট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং সিএমএইচ-এ যোগাযোগ করবেন অনুগ্রহ করে। সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহর দয়া ছাড়া আর কিছুই বেশী মূল্যবান নয়।’
(জরুরি প্রয়োজনে ইমার্জেন্সি হটলাইনে ফোন করুন। হটলাইন নম্বর- ০১৯৪৯০৪৩৬৯৭)
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান সোমবার দুপুরে উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১ টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলাস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় (যার বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে)। দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উক্ত বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ এর দোতালা একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্স এর সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটের ৭০ জন, ঢাকা সিএমএইচ এ ১৪ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আইএসপিআর জানায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।