সিরাজগঞ্জ, ১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরের দুঃশাসনে গুম, খুন, অত্যাচার ও নির্যাতনে দেশকে পোড়া মাটিতে পরিণত করা হলেও আন্দোলন-সংগ্রাম কখনো থেমে থাকেনি। অবিচল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মহান আত্মত্যাগই হবে আগামী দিনের দেশ গড়ার প্রেরণা।’
আজ শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাসুমপুর গ্রামে জেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট শহীদ সোহানুর রহমান রঞ্জু স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, ‘যে পরিবার থেকে প্রিয় সন্তান শহীদ হয়, সেই শূন্যতা কখনো পূরণ হয় না। আমরা তাদের ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি ও সহযোগিতা করি, কিন্তু পিতৃস্নেহ ও ভ্রাতৃমমতা আর ফিরে পাওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এখনও বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তারা যেন আর ফিরে এসে দেশের ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
এ সময় তিনি শহীদ রঞ্জুর পরিবারের প্রতি নজর রাখার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান, মোস্তফা নোমান আলাল, মুন্সি জাহিদ আলম, ইমরুল কায়েস প্রেম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজেশ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম ফ্রুট, শহর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল জোয়ার্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম কারেন্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি লুৎফর রহমান ভুঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এবং শহীদ রঞ্জুর পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট উত্তাল সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতৃত্বাধীন মিছিলে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ ও কুপিয়ে হত্যা করে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান খান রঞ্জুকে। ওই দিন রঞ্জুসহ ১৪ জন শহীদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে সিরাজগঞ্জ শহর ও জেলা ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়।