ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আজ গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
একইসঙ্গে আদালতের আদেশে ১৩টি ব্যাংক হিসাবের প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের ১ লাখ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস ক্রোক করা হয়েছে।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে কাউসার আহমেদ অপু এবং মেহেদী হাসান দিপুর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় অনুসন্ধান পরিচালনা করে সিআইডি। অনুসন্ধানে উঠে আসে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় কিংবা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে তা বিক্রি করে।
২০২২ সালের ৮ মার্চ কাউসার আহমেদ অপু ও মেহেদী হাসান দিপু বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে ৭ দশমিক ৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করে। পরবর্তীতে ১ জুন ওই জমির মধ্যে ৬ দশমিক ৩৩৭৫ একর জমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি লিমিটেডের কাছে পুনরায় বিক্রি করে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে।
এছাড়া সমবায় সমিতির নামে বালি ভরাট কার্যাদেশ জালিয়াতির মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে।
সিআইডি জানায়, ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকেও ভুয়া মূল্যায়ন কপি তৈরি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহায়তায় সম্পত্তির অতিমূল্যায়ন দেখিয়ে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণ পরিশোধ না করে ওই অর্থ বিদেশে পাচার করা হয় এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করা হয় ২০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে।