ঢাকা, ২১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)-এ বিধিবহির্ভূত নিয়োগ ও পদোন্নতি, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে বিসিএসসিএল-এ কার্যাদেশ প্রদান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানপূর্বক জাতীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে আজ এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
তিনি জানান, অভিযানকালে পরিচালক পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় জ্যেষ্ঠতার বিধি লঙ্ঘন এবং ফিডার পদে চাকরির মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া, মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়া ব্যতীত চুক্তি নবায়নের প্রমাণ পায় দুদক টিম। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রথমে ছদ্মবেশে হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা কেন্দ্র ঘুরে দেখা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালের রান্নাঘর, স্টোররুম ও ওয়ার্ডসমূহের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরিদর্শনকালে খাবারের মান ও পরিমাণ যাচাই করা হয় এবং কয়েকজন সেবাগ্রহীতার সাথে কথা বলা হয়। দেখা যায়, এক্সরে মেশিন অকেজো থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে এক্সরে করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় দুদক টিম। টিম জানতে পারে, অনুমোদিত ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৮ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। অপরদিকে ৫০ বেডের হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। ফলে সীমিত সংখ্যক ডাক্তার ও বেড নিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এছাড়া রাঙ্গামাটিতে ‘কাপ্তাই হ্রদের পানি সরবরাহ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ৩৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রেসপন্সিভ দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। অভিযোগের বিষয়সমূহ যাচাইয়ের স্বার্থে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।