ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (এমআইএসটি) যৌথ ব্যবস্থাপনায় ‘তথ্য ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রান্ত ও অপতথ্য মোকাবিলার উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ বুধবার জেনারেল মোস্তাফিজ মাল্টিপারপাস হল, এমআইএসটি’তে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, এবং এমআইএসটি, বিইউপি, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমআইএসটি’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
পিএসও তার বক্তব্যে সঠিক তথ্য সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান অতিথি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ তার বক্তব্যে বলেন, ‘ভবিষ্যতের যুদ্ধ অস্ত্র দিয়ে নয়, বরং একটি ভাইরাল ভিডিও বা বিকৃত তথ্য দিয়ে শুরু হতে পারে।’
তিনি সত্যকে জাতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান এবং দেশীয় ফ্যাক্ট-চেকিং টুলস তৈরি, ডিপফেক প্রতিরোধে এআই-ভিত্তিক গবেষণা ও সামরিক-বেসামরিক শিক্ষায় মিডিয়া জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, বাংলাদেশ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, এমআইএসটি’র অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুফি মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন।
আলোচনায় বক্তারা উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্য ও গুজব মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন এবং সচেতনতামূলক শিক্ষা অপরিহার্য। সামরিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি কৌশলগত ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
সেমিনারটি সামরিক ও বেসামরিক প্রাঙ্গণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রতীয়মান।