ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেয়া জমজ ছয় নবজাতকের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. হানিফের স্ত্রী মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) ঢামেক হাসপাতালের গাইনিকোলজি ওয়ার্ডে একসঙ্গে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
জন্মের পরপরই তিন নবজাতককে ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং তিনজনকে কাঁটাবনের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
রোববার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর কাঁটাবনের হোমকেয়ার হাসপাতালে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয় এবং রোববার সন্ধ্যায় একটি পুত্র নবজাতকের মৃত্যু হয়। এছাড়া আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) থাকা দুই নবজাতক মারা যায়। পরে আজ আরেকটি নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাত্র ২৭ সপ্তাহে প্রসব হওয়ায় এবং নবজাতকদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইউনিট-১ এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা জানান, শনিবার রাতে প্রিয়া ভর্তি হন। সকালে তিনি একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ‘বেবি’ বলা যায় না, এটি আসলে ২৭ সপ্তাহের ইনএবিটেবল অ্যাবরশন। জন্ম নেয়া ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনজনের ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম এবং বাকি তিনজনের ৮০০ গ্রাম।