রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার নদীগর্ভে, হুমকিতে ৭টি চর

বাসস
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার নদীগর্ভে। ছবি: বাসস

রেজাউল করিম মানিক

রংপুর, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উজানের পাহাড়ি ঢলে বাঁধের ভাঙন অব্যাহত থাকায় তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়কসহ ৭টি চর ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। ফলে আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীর তীরবর্তী মানুষেরা। 

তারা বলছেন, তিস্তার পানি কমা আর বাড়ার কারণে সেতু রক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। বাঁধটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে সাতটি চরের অন্তত ৫ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ বাঁধের ৭০ মিটার ধসে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান মৃধা।

জানা গেছে, রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গাচড়ার মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু চলতি বছরের আগস্টে উজানের ঢলের তীব্র স্রোত সরাসরি আঘাত হানে বাঁধে। এতে করে বাঁধের নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তাদের জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সেতু রক্ষা বাঁধের ধসরোধে কাজ করার কথা জানান।

এরমধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটিতে ভাঙন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাঁধের প্রায় ৭০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উজানের ঢলের কারণে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

লহ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, বাঁধ ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ এলজিইডিকে জানিয়েছি। তারা জরুরিভিত্তিতে কাজ করার কথা বলেছেন। এর আগে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি এলজিইডিকে জানালে তারা মেরামতের আশ্বাস দেন। 

তিনি আরও বলেন, যেহেতু ভারত থেকে পানি হু হু করে ঢুকছে, তাই পুরো বাঁধটি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে করে তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক, শংকরদহ, ইচলীসহ কয়েকটি চরের গ্রাম ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। বাঁধ ভেঙেছে কিংবা বাঁধটি আমাদেরও কিনা জানি না। মিটিং শেষ করে খোঁজ নেব।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাঁধের ৭০ মিটার ধসে গেছে। তিস্তাসেতু রক্ষা বাঁধে ভাঙনের বিষয়ে ডিসি স্যার ও এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর অভিযান মদসহ আটক ৩
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেফতার
আফগানিস্তাকে বিদায় করে বাংলাদেশকে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলংকা
মোহনগঞ্জের সুয়াইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান গ্রেফতার 
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে আটক ২৯ জন
নবি ঝড়ে শ্রীলংকাকে ১৭০ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক
চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিএনপি ইতিমধ্যেই ৬০-৭০ শতাংশ একমত: মঈন খান
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উপলক্ষে বিএমপি’র নিষেধাজ্ঞা জারি
১০