ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫(বাসস) : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি কোনও নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা দেওয়া হয়, তবে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হলে কোনও নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হয় না।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বিতর্কিত ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের পর, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে যদি কোনও নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর বিজয় নিশ্চিত করার জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করা হয়, তাহলে দেশের জনগণ ছাড় দেবে না।’
মিরপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাজী আসাদুজ্জামান আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে কোনও বিতর্ক নেই, তবে ব্যবহৃত পদ্ধতি নিয়ে আমাদের গুরুতর আপত্তি রয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত না করেই নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘নীলক্ষেতে কেন ব্যালট ছাপানো হয়েছিল? এই ডাকসু নির্বাচন কি কোনও নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত ছিল এই গুরুতর বিষয়গুলো তদন্ত করা। যদি এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকে, তাহলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কি উদ্দেশ্যমূলক ফলাফল বয়ে আনবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।’
রিজভী বলেন, ‘অতীতে শেখ হাসিনা তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে মাটির নিচে চাপা দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির জয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সেলিমা রহমান বলেন, শেখ হাসিনা দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছেন, যার পরিণতি এখন জনগণ ভোগ করছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য দলীয় নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।