খুলনা, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ বলেছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সচেতনতা, প্রতিরোধ ও প্রতিকার এ তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করে।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় অনিয়ম রয়েছে। অনলাইনে প্রতারণা চলছে। এসব ব্যাপারে ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক আহম্মেদ এসব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় অফিস এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেব প্রসাদ পাল।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ ওয়ারেস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতান কুমার মন্ডল।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, খুলনা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।
খুলনা জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিবের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, জিন্নাত আরা আহমেদ, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, নুর ইসলাম রকি, ডা. এস. কে. সাহা, ড. মোহাম্মদ হানিফ মল্লিক, মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মো. আশিকুর রহমান, কামাল মোস্তফা।
সেমিনারে জানানো হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬২ টি অভিযোগ জমা হয়েছে। এরমধ্যে ই-কমার্স সংক্রান্ত অভিযোগ ৬২ হাজার। তার মধ্যে ৯৬ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।