ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং বিপুল অঙ্কের সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান ও তার স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি মো. এনামুল হক খান বৈধ আয়ের উৎস ব্যতীত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৫১ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন। তিনি ১২টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ টাকার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন করেছেন ।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, এনামুলের বৈধ আয় ছিল ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮১ টাকা, অথচ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩২ টাকা। তার অর্জিত সম্পদের মধ্যে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শারমীন খান বৈধ উৎস ব্যতীত ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৩ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে দুদক অনুসন্ধানে জানা গেছে। তিনি সাতটি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ১৬৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, শারমীন খানের বৈধ আয় ছিল ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকা, অথচ অনুসন্ধানকালে তার মোট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৯ কোটি ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৭ টাকা, যা ৭৭ দশমিক ৫২ শতাংশ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
দুদক উভয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।