ঢাকা, ১২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউছুফ বলেছেন, দেশের শিপিং ও জাহাজ নির্মাণ খাতের প্রধান বাধাগুলো দূর করতে সরকার দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে। যাতে খাতটির দক্ষতা, প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা আরও বাড়ানো যায়।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথভাবে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে কার্যক্রম আরও সহজ ও ব্যবসাবান্ধব হয়।
আজ রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথা বলেন।
ইআরএফ আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি আজম জে চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা।
নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘শিপিং খাত বর্তমানে সিন্ডিকেট, কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, অর্থায়নের জটিলতা এবং বন্দর সক্ষমতার সীমাবদ্ধতাসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জাহাজ নিবন্ধন ও বিক্রির অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এসব অনুমোদন নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকেই দেওয়া হবে, মন্ত্রণালয়ে আনার প্রয়োজন হবে না।’
প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির বিষয়ে সচিব বলেন, মেরিন প্রশিক্ষণ ও সিডিসি সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনা হয়েছে, যাতে অযোগ্য কেউ নৌ-পেশায় প্রবেশ করতে না পারে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে।
তিনি বলেন, ‘সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগোচ্ছি। যদি আমরা এই বাধাগুলো দূর করতে পারি, তবে শিপিং ও জাহাজ নির্মাণ খাত জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগের বড় চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজগুলোর জন্য সমান সুযোগ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণ ও শিপিং শিল্প দেশের বিকল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি বড় উৎস হতে পারে। এ শিল্পে ট্যাক্স অব্যাহতি ও প্রণোদনা অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগ আরও বাড়বে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।