বাসস
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৭

লা লিগা: ইয়ামালের দুর্দান্ত গোলে বার্সেলোনার কষ্টার্জিত জয়

মাদ্রিদ, ৯ মার্চ ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : টিনএজার লামিন ইয়ামালের একমাত্র গোলে রিয়াল মায়োর্কাকে শুক্রবার লা লিগায় পরাজিত করেছে বার্সেলোনা।
ইনজুরির কারনে জাভি কাল অনেকটাই পরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হন। যে কারনে শারিরীক ভাবে অধিক শক্তিশালী মায়োর্কার বিপক্ষে বেশ বিপদেই পড়তে হয়েছেহ বার্সাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইয়ামালের নাটকীয় মুহূর্ত স্বাগতিকদের পূর্ণ তিন পয়েন্ট উপহার দিয়েছে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার সংগ্রহ এখন ৬১ পয়েন্ট। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র ১০ ম্যাচ বাকি আছে। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে কাতালান জায়ান্টদের পয়েন্টে ব্যবধান এখন পাঁচ। তৃতীয় স্থানে থাকা জিরোনার সংগ্রহ ৫৯ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগে নাপোলির মোকাবেলা করবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
১৬ বছর বয়সী ইয়ামাল ৭৩ মিনিটে দ্রুতগতিতে দৌড়ে গিয়ে বক্সের কাছাকাছি বল পেয়ে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান। তাকে আটকানোর সাধ্য ছিলনা মায়োর্কার রক্ষনভাগের। গত সপ্তাহে এ্যাথলেটিক বিলাবাওয়ের সাথে গোলশুন্য ড্রয়ের ম্যাচটি থেকে চারটি পরিবর্তন করে কাল মাঠে নেমেছিল বার্সা। কিন্তু অস্থায়ী মোজুইচ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ২৪ মিনিটে রাফিনহার আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ইকে গুনডোগান। তার শটটি মায়োর্কা গোলরক্ষক প্রেড্রাগ রাকোভিচ দারুনভাবে রুখে দেন। হুয়াও ফেলিক্স ডেডলক ভাঙ্গার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। কিন্তু তার শটটি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের মানু মোরলানেসের হেড রুখে দিয়ে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান বার্সেলোনাকে রক্ষা করেছেন।
নিষেধাজ্ঞার কারনে স্ট্যান্ড থেকে ম্যাচ উপভোগ করা জাভির হাতে ইনজুরির কারনে খেলোয়াড় বাছাইয়ের বিকল্প খুব বেশি ছিলনা। ফ্রেংকি ডি জং ও পেড্রি ইনজুরির কারনে সাইডলাইনে আছেন। রবার্ট লিওয়ানদোস্কি মূল একাদশে বাইরে ছিলেন। রোনাল্ড আরাউজো ছিলেন নিষেধাজ্ঞায়। ইয়ামালই একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আক্রমনভাগ সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
মৌসুমের শেষে জাভি বার্সেলোনার ছাড়ার ঘোষনায় অনেকেই ধরে নিয়েছে এবার আর কাতালান জায়ান্টদের লা লিগা শিরোপা ধরে রাখা হয়তো সম্ভব হবে না। বিশেষ করে জানুয়ারিতে দলের একের পর এক বাজে পারফরমেন্সে এই শঙ্কা আরো দৃঢ় হয়। কিন্তু জাভির বিদায়ের ঘোষনায় হঠাৎ করেই যেন নড়েচড়ে বসে শিষ্যরা। বিদায় বলার পর থেকেই প্রায় সবগুলো ম্যাচ জিতে কোচের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখাই যেন এখন বার্সেলোনার মূল লক্ষ্য।