শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা জাতীয় দলের ব্যাটাররা।
ইতোমধ্যে লিগ পর্বে অর্ধেকের বেশি ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে। রান সংগ্রহের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া জাতীয় দলের কোন ব্যাটারই নেই। যদিও বোলারদের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। বিপিএলে ব্যাটারদের চেয়ে ভালো পারফরমেন্স করছে বোলাররা।
৯ ম্যাচে ৩৩০ রান নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে আছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের ওপেনার তানজিদ। তার স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৬৫। টুর্নামেন্টে তার দল ভালো না খেললেও, দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি আছে তানজিদের।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদের সঙ্গী রংপুর রাইডার্সের সৌম্য সরকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ চলাকালীন আঙুলের ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। শীঘ্রই বিপিএলে খেলতে নামবেন সৌম্য।
৮ ম্যাচে ১৫০.৮৬ স্ট্রাইক রেটে ১৭৫ রান করেছেন জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার জাকের আলী অনিক।
ব্যাটিং তালিকায় ২০তম স্থানে আছেন তিনি। ফিনিশার হিসেবে জাকেরকে ব্যবহার করছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাই ব্যাটিংয়ে খুবই কম সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৭ ম্যাচে মাত্র ১২৬ রান করেছেন তিনি।
ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলছেন জাতীয় দলের আরেক মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ৬ ম্যাচে ১৩১.৫২ স্ট্রাইক রেট মাত্র ১২১ রান করেছেন তিনি। গত বিপিএলে ৪৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন হৃদয়।
৭ ম্যাচে মাত্র ১০৩ রান করেছেন লিটন দাসের জায়গায় জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া চট্টগ্রাম কিংসের ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন।
এখনও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ৮৪ রান এবং মুশফিকুর রহিম ৭৩ রান করেছেন। ৫ ম্যাচে মাত্র ৫৬ রান করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলছেন মুশফিকুর, রিয়াদ, শান্ত এবং হৃদয়। জাতীয় দলের ঐ চার তারকা ব্যাট হাতে জ্বলে না উঠলেও, তামিম এবং বরিশালের বিদেশী ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের কল্যাণে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতেছে বরিশাল।
ব্যাটারদের পারফরমেন্স খারাপ হলেও বলার মত পারফরমেন্স করেছেন জাতীয় দলের বোলাররা। ৯ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। যদিও তার দল দুর্বার রাজশাহী প্লে-অফে জায়গা করে নিতে লড়াই করছে।
তাসকিনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলা পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৭ ম্যাচ খেলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শিকার করেছেন নাহিদ রানা। ৯ ম্যাচে ৯ উইকেট আছে ঢাকার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের।
তিন স্পিনারের মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজ ৭ ম্যাচে ৫ উইকেট, খুলনা টাইগার্সের নাসুম আহমেদ এবং বরিশালের রিশাদ হোসেন চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। যদিও নাসুম ও রিশাদ নিজ-নিজ দলের হয়ে সব ম্যাচ খেলেননি।