বাসস
  ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

পাকিস্তানের উপর ক্ষেপেছেন রাজা

করাচি, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ (বাসস) : বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষার অজুহাত না দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে জিততে বললেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ও চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দুই ম্যাচ হারের পর রাজা বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের আগে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন প্রয়োজনই নেই। পাকিস্তানের উচিত াচ জয়ে  মনোনিবেশ করা।
চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কারনে প্রথম সারির ৯জন খেলোয়াড়কে ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম চার ম্যাচ শেষে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় নিউজিল্যান্ড। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে চতুর্থ ম্যাচ ৪ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, বিশ^কাপের জন্য সেরা দল বাছাই করতে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে বেঞ্চের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হবে।
কিন্তু বিশ^কাপের আগে এসব পরীক্ষা-নিরিক্ষা বন্ধ করে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে বললেন রাজা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রাজা বলেন, ‘কোথায় এমন লেখা আছে, বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ম্যাচ হারতে হবে। আপনারা কি করতে চাইছেন আমি বুঝতে পারছি না। নিয়মিত হারতে থাকলে আত্মবিশ^াসে চিড় ধরবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারনে ধ্বংসের মুখে পড়তে হবে। আমাদের সাদা বলের দলটি ভালো ছিলো। কিন্তু নতুন অধিনায়ক আসায় তাদের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে। বড় খেলোয়াড়দের বেঞ্চে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদের খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
রমিজ আরও বলেন, ‘ডাগআউটে যারা আছে তারা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হবার চেষ্টা করছে। তারা অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে আছে। বিশ্বকাপের আগে কেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, তা আমি বুঝতে পারছি না।’
বিশ^কাপের আগ মুর্হূতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ মে থেকে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারনে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তান হারতে পারে কিনা, এমন প্রশ্ন নিজেই তুলে ধরেন রাজা। তিনি বলেন, ‘আপনাকে এমন একটি দল তৈরি করতে হবে, যারা লড়াই করতে পারবে। আপনি প্রতিভার উপর নির্ভর করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ম্যাচ হারাতে পারেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতেই পারে কিন্তু দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে ম্যাচ হারাতে পারেন না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে হেরে, পাকিস্তান কি ভারতকে হারাতে নিউ ইয়র্ক যাবে? হারের ফলে ঐ সময় চাপে থাকতে হবে। এজন্য জয়ের প্রতিই মনোনিবেশ করা উচিত পাকিস্তানের।’
বাসস/ওয়েবসাইট/এএমটি/১৮০০/-স্বব

গেইল ও বোল্টের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপের শুভেচ্ছা দূত যুবরাজ
দুবাই, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ (বাসস) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটার ক্রিস গেইল ও জ্যামাইকান স্প্রিন্টার আটবার অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের পর আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের নাম ঘোষনা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপের শুভেচ্ছা দূত হতে পেয়ে রোমাঞ্চিত ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সদস্য যুবরাজ।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ঐ আসরে গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পথে প্রতিপক্ষের পেসার স্ট্রয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয় ছক্কা হাকান যুবরাজ।  ইনিংসে ১২ বলে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা দূত হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের প্রথম আসরে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার স্মৃতি তুলে ধরেন যুবরাজ। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  আমার জীবনে কিছু সুখ স্মৃতি আছে । এরমধ্যে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারার ঘটনাও রয়েছে। আগামী আসরের অংশ হতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত।’
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মত ক্রিকেট বিশ^কাপের আয়োজক হলেও, দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের মেগা ইভেন্ট আয়োজন করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ব্যাপারে যুবরাজ বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুন এক জায়গা। সেখানকার দর্শকরা মাঠে  বিশে^র অন্যান্য দেশের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা আবহ তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটেরও প্রসার হচ্ছে এবং আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রসারের অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’
আগামী ৯ জুুন নিউ ইয়র্কে বিশ^কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। সারা বিশে^র মত ঐ ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছেন যুবরাজও। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচগুলোর একটি হতে চলেছে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নতুন একটি স্টেডিয়ামে খেলার অংশ হওয়াটা বিশেষ কিছু।’