বাসস
  ০২ মে ২০২৪, ১৪:০৭

প্যারিসে ফিরে আসার প্রত্যয় পিএসজির

ডর্টমুন্ড, ২ মে ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে শেষ চারের লড়াইয়ে প্রথম লেগে ১-০ গোলে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও  প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই (পিএসজি)কোচ লুইস এনরিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী।
নিকলাস ফুয়েলক্রুগের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলে গতকাল ঘরের মাঠে জয় নিশ্চিত হয়ে ডর্টমুন্ড। কাল ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টার ক্যানাল প্লাসকে পিএসজি বস এনরিকে বলেছেন, ‘এটাই ফুটবল। খুব কম সময়ই এটা দুর্দান্তভাবে শেষ হয়। বেশীরভাগ সময়ই এটার চিত্র ঠিক আজকের মতই হয়। আমরা হয়তো ভিন্ন একটি পরিস্থিতি নিয়ে ম্যাচটি শেষ করতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় পুরো ম্যাচের দিকে তাকালে দেখা যাবে লড়াইটা প্রায় সমান  হয়েছে।’
ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা কাল ম্যাচে প্রায় বেশীরভাগ সময়ই নিয়ন্ত্রন নিজেদের কাছে রেখেছিল। বেশী শট তারা টার্গেটে করেছে। কিন্তু ভাগ্যের জোড়ে গোল পায়নি। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আচরাফ হাকিমির পরপর দুটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
লুইস এনরিকে আরো বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল ম্যাচ কখনই সহজ হয়না। ড্রেসিং রুমে ছেলেরা কিছুটা হতাশ ছিল। আমরা কিছু  সুযোগ পেয়েছি তবে  শটগুলো পোস্টে লেগেছে। এই স্টেডিয়ামটি কিছুটা ব্যতিক্রম। কিন্তু আমি নিশ্চিত প্যারিসে আমরা শক্তিশালী ভাবেই ফিরে আসবো। কারন আমাদের হারানোর আর কিছু নেই। নির্ভার হয়ে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে পিএসজি পঞ্চম ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল। এই প্রথম এনরিকের অধীনে কোন গোল না দিয়ে কোন ম্যাচে পরাজিত হলো পিএসজি।  এই মৌসুমেই গ্রুপ পর্বে ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে প্যারিসের জায়ান্টদের। সেপ্টেম্বরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে অনেকটাই দাপটের সাথেই জয়ী হয়েছিল এনরিকের দল। কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার সাথে প্রথম লেগে ৩-২ গোলে হেরেও দ্বিতীয় লেগে ৪-১ গোলে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালের টিকেট পায়। এসবই পিএসজিকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। ২০২০ সালে শেষ ষোলতে জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-১ গোলে পরাজিত হলেও দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জয়ী হয়েছিল। 
পিএসজি অধিনায়ক মারকুইনহোস বলেছেন, ‘আমরা এমন দুটি দল যারা আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলতে পছন্দ করি। যে কারনে বলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে লড়াইটা বেশী হয়। ম্যাচটি শারিরীক ভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ফলাফল বিবেচনায় আমরা সুযোগ বেশী পেয়েছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে সুষ্পষ্ট সুযোগগুলো আমরাই তৈরী করেছি। এখন ফাইনালে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ঘরের মাঠে আমাদের সুযোগগুলো শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এই স্টেডিয়মে খেলা সবসময়ই কঠিন। আমরা এখানে বারবার আসতে চাই এবং জিততে চাই। এবার হয়তো পারিনি, কিন্তু পার্থক্যও খুব বেশী নয়, মাত্র ১-০। অতীতে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বিশেষ করে ঘরের মাঠে স্বাগতিক সমর্থকদের শক্তি আমাদের বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয়। আমি নিশ্চিত প্যারিসে সবাই একটি ভিন্ন চিত্র দেখতে পাবে।’
এদিকে লুইস এনরিকে স্বীকার করেছেন প্রথমার্ধের শেষভাগে ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজের ইনজুরি নিয়ে তিনি এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানেননা। তবে ইনজুরির ধরনে দেখে মনে হয়েছে বিষয়টা গুরুতর। ফুয়েলক্রুগের গোল আটকাতে গিয়ে হাঁটুতে আঘাত পান হার্নান্দেজ। এরপর বেশীক্ষন আর মাঠে থাকতে পারেননি। প্রথমার্ধ শেষ হবার আগেই তার স্থানে লুকাস বেরালডোকে নামানো হয়।