বাসস
  ২৮ মে ২০২৪, ১৯:১২

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে বড় অর্জনের লক্ষ্য জাকেরের

ঢাকা, ২৮ মে ২০২৪ (বাসস) : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে দেশের হয়ে বড় কিছু অর্জন করতে চান বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার ও উইকেটরক্ষক জাকের আলি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানান জাকের।
গত বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুন পারফরমেন্সের সুবাদে স্পটলাইটে  আসেন জাকের। এ বছরের মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নেমেই চমক দেখান তিনি। ৩৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন জাকের। ঐ ইনিংসের সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
প্রথমবারের মত বিশ^কাপ খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন ২৬ বছর বয়সী জাকের। অতীতে যা হয়নি, এবারের বিশ^কাপের বাংলাদেশের হয়ে বড় অর্জনের লক্ষ্য স্থির করেছেন তিনি। জাকের বলেন, ‘অবশ্যই ইচ্ছা থাকবে, আগে যে অর্জনগুলো আমরা করতে পারিনি, এ বছর যেন আমরা এররকম কিছু অর্জন করতে পারি, যা আগে কখনও হয়নি।’
এবারের বিশ্বকাপে দেশের হয়ে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন জাকের। তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা ম্যাচ ধরে-ধরে প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফরমেন্স করবো এবং জিতবো। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করবো। সেটাও একটা বিষয় সব সময় ভাবনায় থাকছে যে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে হবে।’
বিশ^কাপ দলে সুযোগ পাবার খবর জানার পর-পরই মেগা ইভেণ্টের জন্য নিজের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন বলে জানান জাকের, ‘যেভাবে দলে আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সেটা আসলেই বিশেষ কিছু ছিল। যখন থেকে শুনলাম, আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সাথে কিভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সাথে কি কৌশল নিতে হবে, সেগুলো নিয়েও ভাবছি। সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ^কাপ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনুসরণ করছেন জাকের। তখন থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি, ‘ক্রিকেট দেখেই ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেটটা ভালোভাবে বুঝতে শুরু করি। তখন থেকেই বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা জাগে। দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তবে তো আরও ভালো।’
বাংলাদেশের হয়ে খেলার কারনে তার মায়ের স্বপ্নও পূরণ হয়েছে বলে জানান জাকের। তিনি বলেন, ‘কাছের সবাই খুব গর্ববোধ করে। আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলবো। মা সবসময় বলতেন, তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে কবে খেলবি। এটা আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেতো।’
পরিবারের পাশাপাশি বিকেএসপির অবদানের কথা ভুলেননি জাকের। নিজ গ্রাম হবিগঞ্জ ছেড়ে বিকেএসপিতে যোগদানের স্মৃতি স্মরণ করেন তিনি, ‘আমার বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ জাগে। আমি যখন ক্রিকেট দেখা শুরু করি, সে সময় আমার ভাইও ক্রিকেট খেলতো। এজন্য সবার ভালো সমর্থন পেয়েছি। আমি ২০১০ সালে বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিই, এখানে আসার পরই স্বপ্নগুলো বড় হতে থাকে। শুরুতে স্বপ্ন এত বড় ছিল না। এখানে এসে যখন বড় ভাইদের দেখলাম, তখন মনে হলো স্বপ্নগুলো বড় করতে হবে। যদি আমি হবিগঞ্জে বসে থাকতাম, আমার মনে হয় না এত দূর আসতে পারতাম।’