বাসস
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৫০

আমি বাংলাদেশের নাহিদ রানা হতে চাই : রানা

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (বাসস) : সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সফরে বল হাতে গতির ঝড় তুলে ক্রিকেট বিশ্বে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমনের নতুন সেনসেশন নাহিদ রানা। ক্রিকেটে জগতে নিজেকে নাহিদ রানা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চান এই ডান-হাতি পেসার।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে গতি দিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটারদের বেকায়দায় ফেলেছেন ২১ বছর বয়সী রানা। বাউন্সার, অফ-স্টাম্প ঘেঁষে করা তার ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মত ব্যাটাররা। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোন পেসারের এমন গতি সচরাসচর দেখা যায় না।
টেস্টে উইকেটের দুই প্রান্ত দিয়েই দ্রুত গতিতে বোলিং করেছেন রানা। সিরিজে দু’বার ঘন্টায় ১৪৯.৯ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। দ্বিতীয় টেস্টে দেড়শ কোটা পার করে ঘন্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতেও বল করেছেন রানা। 
আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া একটি ভিডিওতে রানা বলেন, ‘আমি কারও মতো হতে চাই না, আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই। আমি বাংলাদেশের নাহিদ রানা নামে পরিচিত হতে চাই।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি কাউকে অনুসরণ করি না। আমি বাংলাদেশের সব পেসারের প্রশংসা করি কারণ আমি টিভিতে তাদের খেলা দেখে বড় হয়েছি। আমি অন্য কাউকে অনুকরণ করতে চাই না।’ 
গত মার্চে টেস্ট অভিষেকের পর পাকিস্তান সিরিজে নিজের জাত চেনান রানা। দুই টেস্টে ৬ উইকেট নেন তিনি। এরমধ্যে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন রানা। বোলিং ফিগারের চেয়ে রানার গতির ঝড় নজর কেড়েছে। কারন রানাকে খেলতে হিমশিম খেতে হয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটারদের। 
লম্বা হবার কারনে রানার অতিরিক্ত বাউন্স বিপদে ফেলেছিলো পাকিস্তানের ব্যাটারদের। দ্বিতীয় টেস্টে এক স্পেলে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিলেন রানা। 
ভারত সিরিজকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করছেন রানা। গতি বাড়ানোর দিকে নজর না দিয়ে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে চান তিনি। 
রানা বলেন, ‘আমি কখনই অনুভব করিনি, আমার আরও গতি বাড়াতে হবে। ঘন্টায় ১৫২ কিলোমিটারের চেয়ে আরও দ্রুত বল করতে হবে। দলের দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছি। কখনও কখনও নিজের পরিকল্পনা অনুসারেও বোলিং করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেস এমন কিছু নয় যে, আপনি বলবেন আর দ্রুত গতিতে বল করবেন। এটা ছন্দের উপর নির্ভর করে। আপনি যখন ভালো ছন্দে থাকেন তখন সহজ হয়ে যায়।’