ঢাকা, ৭ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে ফুলহ্যাম। দিনের আরেক ম্যাচে টটেনহ্যামের কাছে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে রেলিগেটেড হয়ে গেছে সাউদাম্পটন।
ক্র্যাভেন কটেজের নাটকীয়তা ও টটেনহ্যামের বড় জয় এসবই অবশ্য চাপা পড়ে গেছে দিনের অন্যতম বড় ম্যাচ ম্যানচেস্টার ডার্বির উত্তেজনায়। দিনের শুরুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি অবশ্য গোলশুন্য ড্র হয়েছে।
শনিবার এভারটনের সাথে আর্সেনাল ১-১ গোলে ড্র করায় রেকর্ড স্পর্শ কারী ২০তম ইংলিশ লিগ শিরোপা জয়ে লিভাপুলের সামনে আর মাত্র ১১ পয়েন্টের প্রয়োজন ছিল। এর আগে আর্নে স্লটের দল লিগে টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত ছিল। ১৪ মিনিটে এ্যালেক্সিস ম্যাক এ্যালিস্টারের দুর্দান্ত গোলে লিভারপুল এগিয়ে যায়। কিন্তু লিভারপুল ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় রায়ান সেসেগনন, এ্যালেক্স ইয়োবি ও রডরিগো মুনিজের গোলে ফুলহ্যাম দুর্দান্ত দাপটে ম্যাচে ৩-১ গোলের লিড নেয়। ৭২ মিনিটে লুইস দিয়াজ এক গোল পরিশোধ করলেও তা ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি।
এই পরাজয় সত্তেও ২০২০ সালের পর প্রথম লিগ শিরোপা জয়ে লিভারপুল সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র সাত ম্যাচ বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পক্ষেই কেবল লিভারপুলকে ধরা সম্ভব।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির কাছে পরাজিত হয়ে বিদায়ের পর লিগ কাপ ফাইনালে নিউক্যাসলের কাছে পরাজিত হবার পর বুধবার লিভারপুল মার্সিসাইড ডার্বিতে এভারটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আবারো জয়ের ধারায় ফিরেছিল। কিন্তু ফুলহ্যামের কাছে আর পেরে উঠেনি।
স্লট বলেন, ‘সার্বিক ভাবে বলতে গেলে পুরো লিগে আমরা এই ভুলগুলো খুব একটা বেশী করিনি। সবাই কিন্তু এসব বুঝবে না, তারা নিজেদের মত করে কাহিনী বানাবে। এবারের মৌসুমে অনেক দলই ফুলহ্যামের বিপক্ষে খেলতে অস্বস্তিতে পড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল খেলেছি। বেশ কিছু সুযোগও তৈরী হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’
এদিকে উত্তর লন্ডনে ব্রেনান জনসনের প্রথমার্ধের জোড়া গোলে টটেনহ্যাম ২-০ গোলে লিড পায়। মাথিয়াস ফার্নান্দেদেসের ৯০ মিনিটের গোলে সাউদাম্পটন এক গোল পরিশোধ করেছিল। কিন্তু বদলী খেলোয়াড় মাথিস টেলের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তের গোলে স্পার্সদের জয় নিশ্চিত হয়। একইসাথে টেবিলের তলানির দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নশীপে ফিরে যাওয়ার পথ নিশ্চিত হয় সাউদাম্পটনের।
এবারের মৌসুমে ৩১ ম্যাচের মধ্যে ২৫টিতেই পরাজিত হয়েছে সাউদাম্পটন। প্রথম দল হিসেবে সাত ম্যাচ হাতে রেখেই প্রিমিয়ার লিগে রেলিগেশন নিশ্চিত হলো সাউদাম্পটনের।
এর আগে ১৯৯৪-৯৫ এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমে ছয় ম্যাচ হাতে রেখে রেলিগেশন নিশ্চিত হয়েছিল ইপসউইচ ও ডার্বির।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে জয়ী হয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে ওঠার সুযোগ নষ্ট করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ড্রয়ে পেপ গার্দিওলার দল পঞ্চম স্থানেই থাকলো। ষষ্ঠ স্থানে থাকা এ্যাস্টন ভিলার থেকে মাত্র এক পয়েন্ট ও সপ্তম স্থানে থাকা নিউক্যাসলের থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে সিটি।