ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : তাওহিদ হৃদয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৮ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ রান করে টাইগাররা। হৃদয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। এছাড়া অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৬ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৩২ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলীয় ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার রোমারিও শেফার্ডের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাইফ হাসান। ৬ বলে ৩ রান করেন তিনি।
পরের ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য। ক্যারিবীয় পেসার জেইডেন সিলেসের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রোস্টন চেজকে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে আউট হন দুই সিরিজ পর দলে ফেরা সৌম্য।
তিন বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে চাপমুক্ত করতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ক্রিজে আসা দুই নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১৭তম ওভারে হাফ-সেঞ্চুরি পায় বাংলাদেশ। কিছুক্ষণ পর জুটিতেও হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত ও হৃদয়।
২৩তম ওভারের শুরুতে শান্ত ও হৃদয়ের জুটিতে ভাঙন ধরান ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার খারি পেরি। ৩টি চারে ৬৩ বলে ৩২ রান করে পেরির বলে লেগ বিফোর হন শান্ত। হৃদয়ের সাথে ১২০ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ৭৯ রানে শান্তর বিদায়ে ক্রিজে আসেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। হৃদয়ের সাথে ৭৫ বলে ৩৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশের রান ১শ পার করেন মাহিদুল। এই জুটিতে ৮৭ বলে ওয়ানডেতে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হৃদয়।
অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে পারেননি হৃদয়। পেসার জাস্টিন গ্রেভসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৩ বাউন্ডারিতে ৯০ বলে ৫১ রান করেন হৃদয়।
এরপর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ান মাহিদুল। তাদের ৫৫ বলে ৪৩ রানের জুটিতে ৪২তম ওভারে দেড়শ পায় টাইগাররা।
২টি চারে ২৭ বলে ১৭ রান করে স্পিনার চেজের বলে সুইপ করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে গ্রেভসকে ক্যাচ দেন মিরাজ।
হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৪ রান দূরে থাকতে চেজের দ্বিতীয় শিকার হন মাহিদুল। সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩টি চার মেরে ৭৬ বলে ৪৬ রান করেন মাহিদুল।
দলীয় ১৬৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে মাহিদুল ফেরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের উপর চড়াও হন রিশাদ হোসেন। তার ২টি ছক্কা ও ১টি চারে সাজানো ১৩ বলে ২৬ রানের সুবাদে ২শর কাছে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের স্কোর। কিন্তু ২শ থেকে ২ রান দূরে থাকতে অষ্টম ও নবম ব্যাটার হিসেবে রিশাদ ও তাসকিন আহমেদ আউট হলে ২শর আগেই অলআউট হবার শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা।
শেষ উইকেটে ৫ বলে ৯ রান যোগ করে দলের রান ২শ পার করেন তানভীর ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ ব্যাটার হিসেবে ফিজ রান আউট হলে ইনিংসের ২ বল বাকী থাকতে ২০৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এই নিয়ে টানা ৭ ইনিংসে ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারল না টাইগাররা।
সিলেস ৪৮ রানে ৩টি, চেজ ও গ্রেভস ২টি করে উইকেট নেন।