
ঢাকা, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জার্মানির হোহেনস্টাইন গ্রুপের একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
হোহেনস্টাইন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ সিইও ড. স্টেফান ড্রোস্টে, অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্য জুলিয়া মিচিলস, এবং হোহেনস্টাইন ল্যাবরেটরিজ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে হোহেনস্টাইন প্রতিনিধিরা তাদের সংস্থার দক্ষতা ও কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন, যার মধ্যে রয়েছে ফাংশনালিটি ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইলসের ওপর সমৃদ্ধশালী গবেষণা, সেই সঙ্গে টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন পরিষেবা।
হোহেনস্টাইন ‘মেইড ইন গ্রিন’ উদ্যোগে বিজিএমইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটি টেকসইভাবে উৎপাদিত টেক্সটাইল পণ্যের জন্য একটি ট্রেসেবল লেবেল, যা এসটিইপি (সাসটেইনেবল টেক্সটাইল প্রোডাকশন) সার্টিফিকেশনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। এই লেবেল থাকা পণ্যটি মানুষ ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব, এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল হিসেবে নির্দেশ করে।
এছাড়াও, বৈঠকে পোশাকের মূল্য চেইনে বৃহত্তর ট্রেসেবিলিটি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য একটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট (ডিপিপি) তৈরির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি সমগ্র পোশাক শিল্পে সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের জন্য একটি ‘ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট’ (সমন্বিত আচরণবিধি) প্রণয়নের ওপর জোর দেন,যা সরবরাহকারীদের ওপর বিভিন্ন পক্ষের দিক থেকে আসা অডিট পুনরাবৃত্তি (বারবার নিরীক্ষার সম্মুখীন হওয়া) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
তিনি ফাইবারের উৎস সঠিকভাবে নির্ধারণের জন্য ফেব্রিক-এর ডিএনএ টেস্টিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং হোহেনস্টাইন বাংলাদেশে এই পরিষেবা দিতে পারে কি না, সে বিষয়ে জানতে চান।
বিজিএমইএ সভাপতি হোহেনস্টাইনকে বিশেষত বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলোর জন্য এসটিইপি সার্টিফিকেশনের খরচ কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন, যাতে করে টেকসই সার্টিফিকেশন আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হয়।