ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : অর্থ ঘাটতি কারণে শান্তিরক্ষা মিশনের এক চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ‘অর্থ ঘাটতিতে শান্তিরক্ষা মিশনের এক চতুর্থাংশ ছাঁটাই শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।’
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, অর্থের ঘাটতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ তহবিল নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে জাতিসংঘ আগামী কয়েক মাসে বিশ্বের নয়টি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাহিনীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরের শিরোনামে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ জুড়ে দেয়ায় মনে হতে পারে, এটি কেবল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় তহবিলদাতা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমানে ২.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া রয়েছে। হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিসের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকে এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ সম্পূর্ণ বাতিলের পরিকল্পনা রয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, মালি, লেবানন ও কঙ্গোর মতো দেশে মিশনগুলো প্রত্যাশিত সাফল্য আনতে পারেনি। এর আগেও ২০২৪ ও ২০২৫ সালের জন্য অনুমোদিত প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন গত আগস্টে একতরফাভাবে বাতিল করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ ছাড়া, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ব্যয় সংকোচনের উপায় খুঁজছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, এটি স্পষ্ট যে, বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। আর্থিক কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। মিশনে অংশ নেয়া কোন দেশের কতজন এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়ছেন, তা জানানো হয়নি।
গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি দেশেও বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে, অন্তর্বর্তী সরকার, সম্প্রতি খাগড়াছড়ি বিষয়, চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজবসহ ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।