সেন্টমার্টিন ভ্রমণ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট

বাসস
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:২৩ আপডেট: : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৭

ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): সেন্টমার্টিন ভ্রমণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম আরও জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও ফি পরিশোধের নিয়ম নতুন নির্দেশনা নয়। এটি আগে থেকেই ছিল। 

সম্প্রতি সরকার দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১২ দফা নতুন নির্দেশনা জারির পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে’ এই নির্দেশনাগুলো জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। অনেকেই এটিকে সম্পূর্ণ নতুন নিয়ম হিসেবে প্রচার করছেন।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নির্দেশনার সংবাদ শেয়ার করে মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা যেন ধীরে ধীরে নিজের দেশেই পরবাসী হয়ে যাচ্ছি।’ তার এই পোস্টটি বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরেই সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণে তিনটি নির্দেশনা জারি করা হয়। সেগুলো হল-দ্বীপে ভ্রমণের আগে সকল পর্যটকের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, পর্যটকদের জন্য অবতরণ ফি নির্ধারণ এবং দ্বীপের দৈনিক ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পর্যটকের সংখ্যা সীমিত রাখা।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে থাকবে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড; কিউআর কোডবিহীন টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ক্রয়ের নির্দেশনা আগেও ছিল; নতুন সংযোজন হল টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্তির বাধ্যবাধকতা। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনের নির্দেশনাটিও আগে থেকেই ছিল।

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাশাপাশি দেশেও বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে, অন্তর্বর্তী সরকার, চব্বিশের গণআন্দোলনে অংশ নেওয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বেড়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মীরসরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতারা
লেবাননের ভেতরে দেয়াল নির্মাণ করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনের প্রবেশপথ অবরোধ করল আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতৃবৃন্দের বৈঠক
শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন : ডা. জাহিদ
সিলেটে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ জন রাজধানীতে গ্রেফতার 
রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম লেখক সম্মেলন
লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউকের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১০