
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশে (পিডিপিও) ডেটা লোকালাইজেশনের (দেশের ভেতরে তথ্য সংরক্ষণের) কোনো বাধ্যতামূলক বিধান রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তার অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে তৈয়্যব বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সঙ্গে বিশদ পরামর্শের পর পিডিপিও প্রণয়ন করা হয়েছে এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় তথ্যশাসন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন সমন্বয়ের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।
সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি স্পষ্ট করেন যে, ‘সব ধরনের তথ্য দেশেই সংরক্ষণ করতে হবে’- এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি জানান, পিডিপিও কেবলমাত্র কিছু অতি সংবেদনশীল তথ্য- যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, বায়োমেট্রিক ও ভোটার তথ্য, জন্মতারিখ এবং ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য- বাংলাদেশি আইনের আওতায় আনে। এসব তথ্য বিদেশে প্রক্রিয়াজাত করা যেতে পারে, তবে তা বাংলাদেশি আদালতের এখতিয়ারের আওতায় থাকবে।
তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ‘ক্লাউড-ফার্স্ট পলিসি’ গ্রহণ করেছে, ডেটা লোকালাইজেশন নয়। অধ্যাদেশে ১৮ মাসের রূপান্তরকাল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (জিডিপিআর) ও আসিয়ান মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্মতিনির্ভর তথ্য সুরক্ষা কাঠামো রাখা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়তে শক্তিশালী ও আধুনিক তথ্যশাসন অপরিহার্য।
তৈয়্যবের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/share/p/17cN1W71Ly/) পাওয়া যাবে।